মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে আবারো বাড়ছে সুরমা নদীর পানি

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
  • ১৯৪ Time View

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  ৬ দিন বন্যার পানি কমার পর গত দুইদিনের প্রচুর বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জে আবারো বাড়তে শুরু করেছে সুরমা নদীর পানি। আজ সকাল নয়টায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ৪৮ ঘন্টা পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকবে। এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সুরমা, যাদু কাটা, বৌলাই, রক্তি নদীর র্তীরবর্তী বর্তী ৫টি উপজেলার মানুষদের মধ্যে বন্যার ভীতি কাজ করছে। 

গত কয়েকদিন জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্হিতি উন্নতি হলেও এখনও বন্যার্তদের অনেকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা কর্দমাক্ত নোংরা বাড়ি-ঘরে ফিরছে, তাদের শরীরে চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও গো-খাদ্যের অভাব তো রয়েই গেছে। শহরের নিন্মাঞ্চলের বাড়ি ঘরের আঙ্গিনায় আবারও বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। শহরের আরপিন নগর, বড়পাড়া, তেঘরিয়া নবীনগর, বিলপাড় কাজিরপয়েন্ট, মধ্যবাজার, পশ্চিমবাজার এলাকায় সুরমা নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজন বাড়ি ঘরে ফিরলেও এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না করতে করতে আবারও বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হবে বানভাসি এ জেলার বাসিন্দাদের।
অন্যদিকে পানি কমার সাথে সাথে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজন বাড়ি ফিরলে ও আবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় লোকজনের মধ্যে আবারও নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে। গত বন্যায় রাস্তা ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এমনিতে অনেক উপজেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। তারপরও আবারও নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় লোকজনের মধ্যে আবারও নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরো জানান, ৪০০ মেট্রিকটন জিআর চাউল, নগদ টাকা, শিশু খাদ্য ও শুকনো খাবার মজুদ আছে। প্রতি টি উপজেলার থানা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গাইবান্ধায় ঘাঘট তীরে মুক্তমঞ্চ ‘মানব বন্ধন‘ এর উদ্বোধন

সুনামগঞ্জে আবারো বাড়ছে সুরমা নদীর পানি

Update Time : ১০:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  ৬ দিন বন্যার পানি কমার পর গত দুইদিনের প্রচুর বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জে আবারো বাড়তে শুরু করেছে সুরমা নদীর পানি। আজ সকাল নয়টায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ৪৮ ঘন্টা পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকবে। এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সুরমা, যাদু কাটা, বৌলাই, রক্তি নদীর র্তীরবর্তী বর্তী ৫টি উপজেলার মানুষদের মধ্যে বন্যার ভীতি কাজ করছে। 

গত কয়েকদিন জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্হিতি উন্নতি হলেও এখনও বন্যার্তদের অনেকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা কর্দমাক্ত নোংরা বাড়ি-ঘরে ফিরছে, তাদের শরীরে চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও গো-খাদ্যের অভাব তো রয়েই গেছে। শহরের নিন্মাঞ্চলের বাড়ি ঘরের আঙ্গিনায় আবারও বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। শহরের আরপিন নগর, বড়পাড়া, তেঘরিয়া নবীনগর, বিলপাড় কাজিরপয়েন্ট, মধ্যবাজার, পশ্চিমবাজার এলাকায় সুরমা নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজন বাড়ি ঘরে ফিরলেও এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না করতে করতে আবারও বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হবে বানভাসি এ জেলার বাসিন্দাদের।
অন্যদিকে পানি কমার সাথে সাথে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজন বাড়ি ফিরলে ও আবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় লোকজনের মধ্যে আবারও নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে। গত বন্যায় রাস্তা ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এমনিতে অনেক উপজেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। তারপরও আবারও নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় লোকজনের মধ্যে আবারও নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরো জানান, ৪০০ মেট্রিকটন জিআর চাউল, নগদ টাকা, শিশু খাদ্য ও শুকনো খাবার মজুদ আছে। প্রতি টি উপজেলার থানা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।