
বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়ায় এক কুয়েত প্রবাসীর বাড়ি থেকে মাসহ তিন নিকটাত্মীয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের মা মরিয়ম বেগম (৬৫), তার ভগ্নিপতি সামসুল আলম সফিক (৬০), খালাতো ভাই মো. ইউসুফ (২২)।গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা প্রবাসীর একতলা বাড়িতে ঢুকে তাদের হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সলিয়াবাকপুর গ্রামের হাফেজ আব্দুর কুয়েতের একটি মসজিদের ইমাম। রবের বৃদ্ধা মা মরিয়ম বেগমের বাড়িতে তার বোনের ছেলে ইউসুফ মাঝেমধ্যে এসে বসবাস করতো। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েকদিন আগে ইউসুফ ওই বাড়িতে আসে। একইভাবে মরিয়মের জামাতা আলম হাওলাদার দুদিন আগে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। হাফেজ আবদুর রবের বৃদ্ধ মা মরিয়মসহ ওই তিনজন রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আজ সকালে ওই ভবনের ভেতরে জামাই আলম হাওলাদারের রক্তাক্ত মরদেহ লেপ মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। একইভাবে আলমের শাশুড়ি মরিয়ম বেগমের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ ভবনের বেলকনিতে এবং মরিয়মের বোনের ছেলের মরদেহ হাত পা বাধা অবস্থায় পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। জামাতা আলম হাওলাদারের বাড়ি স্বরূপকাঠি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের স্ত্রী ইসরাত জাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে তিনি কিছু জানেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংসদ শাহে আলম, জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানিয়েছেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি পুলিশ। খবর পেয়ে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।