ভোলা প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে খুব শিগগিরই আমরা বরিশাল-ভোলা ব্রিজ দেখতে পাবো, সেদিন বেশি দূরে নয় বলে জানিয়েছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তখন আর ভোলা বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ থাকবে না। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হবে। এরপর ভোলা-লক্ষ্মীপুর ব্রিজ হলে চট্টগ্রাম থেকে পায়রা ও মংলা বন্দর পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই প্রধানমন্ত্রী কাজ করে চলেছেন। আমরা দোয়া করি আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রাখুক।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জেলা প্রশাসক হল রুমে বরিশাল-ভোলা ব্রিজ নির্মাণ প্রস্তাবনার অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘বরিশাল-ভোলা ব্রিজ হলে ভোলা হবে একটি শিল্পায়নের জায়গা। এখানে পর্যাপ্ত গ্যাস আছে। এখানে গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। এক কথায় ভোলা হবে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী জেলা।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জীবনে অনেক জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। বার বার মৃত্যু কাছ থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। ২০০৪ সালে হাওয়া ভবন থেকে নির্দেশ দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। ওই মামলায় জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর তার দুই কন্যা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। আমরা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছি। সে পতাকা হাতে নিয়ে তিনি নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ সকল বিচার শেষ করে দেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। তার নেতৃত্বেই ভোলা-বরিশাল ব্রিজ হবে এবং একদিন ভোলা-লক্ষ্মীপুর ব্রিজও নির্মাণ করা হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ভোলা-৩ (লালামোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, খাদ্য মন্ত্রালয়ের সচিব মো. সাহাবুদ্দিন, ভূমি মন্ত্রালয়ের সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী, ভোলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক ও পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।