শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো-মির্জা ফখরুল ইসলাম

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৭৮ Time View

খোঁজ খবর ডেস্ক: গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে চায় বিএনপি। এ জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ‘অঙ্গীকার’ করেছেন দলটির নীতিনির্ধারণী নেতারা। রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তারা এই ‘অঙ্গীকার’ করেন।

বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সেক্রেটারি কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তারা বর্তমান সরকারের সমালোচনা করেন। এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।

বিএনপির দায়িত্বশীলরা জানান, সমাবেশের অনুমতি পেতে দেরি হওয়ায় একটি পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চ করা হয়।
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের একটি লক্ষ্য। তা হলো খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য একটি গণঅভ্যুত্থান গড়ে তোলা। বেআইনিভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে ২০ মাস ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ একই সময়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের নামে যেসব মামলা হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর খালেদা জিয়ার নামে থাকা ৪টি মামলার জায়াগায় এখন হয়েছে ৩৫টি।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনও বিভক্তি নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে আন্দোলনে নামতে হবে। দ্রুত জনগণকে সংগঠিত করে রাজপথে আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।’

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঐক্যের উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘সমস্ত মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। দুর্বার গণআন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আজকে সবাইকে অন্য কোনও স্লোগান না দিয়ে, ‘এই সরকার নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে হবে।’’ কর্মসূচি কেন্দ্র করে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। সমাবেশ শুরুর দিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় যান চলাচলের জন্য একটি লেন করে দেয়া হলেও পরে নেতাকর্মীদের ভিড়ে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

সরকার ব্যর্থ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার সব কিছুতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা হাজার হাজার পুলিশ নিয়োগ দিচ্ছে কিন্তু দেশে ছিনতাই-রাহাজানি কমছে না। তারা সড়ক নিয়ে আইন করেছে অথচ রাস্তায় প্রতিদিনই মানুষ এক্সিডেন্টে মারা যাচ্ছে।আজকে ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, শেয়ার মার্কেট লুট করে নিয়েছে, ব্যাংক চলছে না। বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় দলীয়করণ করে নিয়েছে। মিডিয়াও দখল করে নিয়েছে। সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা সরকার চালাতে চায়, দেশ চালাতে চায়। কাজেই দেশকে যদি রক্ষা করতে হয়, নিজেদের রক্ষা করতে হয় তবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রিজভী হাওলাদারের মৃত্যুতে ফখরুল শোক জানিয়ে বলেন, তাকে সবসময়ই কার্যালয়ে দেখতাম বুকের মধ্যে ‘গণতন্ত্রের মায়ের মুক্তি চাই’ লিখে রাখতেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করছে। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা ছাড়া তাদের বিকল্প নেই।

মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র বিকল্প হল আন্দোলন। আন্দোলনের কথা শুধু স্লোগান দিলে হবে না, কর্মসূচি দিতে হবে। খুব শিগগিরই আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় নেমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, দেশে আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, প্রভুদের খুশি করতে বিনা কারণে খালেদা জিয়াকে কারা অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। সব বাধা উপেক্ষা করে তাকে বের করে আনতে হবে। দেশের জনগণ জেলের তালা ভেঙে নেত্রীকে মুক্ত করে আনবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ সরকার থাকলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। তাই প্রথমে প্রয়োজন সরকারের পতন। সমাবেশ বা জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। ’৭১-এ স্লোগান দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়নি। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে হয়েছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বহুদিন কষ্ট করেছেন। জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। এখন রাজপথে নামতে হবে। অধিকার আদায় করতে হবে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যে দেশে আইনের শাসন নেই সেখানে আইনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে তা বিশ্বাস করার কারণ নেই। সারা বিশ্বে গণতন্ত্রেও মহানায়করা যেভাবে মুক্ত হয়েছেন খালেদা জিয়াকেও সেভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। এ বছরের মাঝামাঝি তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (হাসপাতালে) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন আছেন। তার স্বজনেরা অভিযোগ করে আসছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। জামিনে মুক্তি পেলে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করাবেন স্বজনেরা।

 ‘আর সমাবেশের অনুমতি নেবে না বিএনপি’

রবিবারের সমাবেশের জন্য সকাল ১০টায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এরপর আমরা আর কোনও অনুমতি নেবো না। যখন প্রয়োজন হবে তখন সভা-সমাবেশ, মিটিং, মিছিল করবো। রাজপথে নামবো। এগুলো করা আমরা শাসনতান্ত্রিক অধিকার। সংবিধানিক অধিকার হচ্ছে—আমি আমার প্রতিবাদ করতে পারবো।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই নির্বাচন বাতিল করুন। নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন করুন। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন।’

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না। তাই আগে শেখ হাসিনার সরকারের পতন আন্দোলন করতে হবে। এই সরকারের পতন হলে তিনি এমনিতে মুক্ত হবেন।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো-মির্জা ফখরুল ইসলাম

Update Time : ০৭:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

খোঁজ খবর ডেস্ক: গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে চায় বিএনপি। এ জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ‘অঙ্গীকার’ করেছেন দলটির নীতিনির্ধারণী নেতারা। রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তারা এই ‘অঙ্গীকার’ করেন।

বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সেক্রেটারি কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তারা বর্তমান সরকারের সমালোচনা করেন। এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।

বিএনপির দায়িত্বশীলরা জানান, সমাবেশের অনুমতি পেতে দেরি হওয়ায় একটি পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চ করা হয়।
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের একটি লক্ষ্য। তা হলো খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য একটি গণঅভ্যুত্থান গড়ে তোলা। বেআইনিভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে ২০ মাস ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ একই সময়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের নামে যেসব মামলা হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর খালেদা জিয়ার নামে থাকা ৪টি মামলার জায়াগায় এখন হয়েছে ৩৫টি।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনও বিভক্তি নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে আন্দোলনে নামতে হবে। দ্রুত জনগণকে সংগঠিত করে রাজপথে আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।’

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঐক্যের উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘সমস্ত মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। দুর্বার গণআন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আজকে সবাইকে অন্য কোনও স্লোগান না দিয়ে, ‘এই সরকার নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে হবে।’’ কর্মসূচি কেন্দ্র করে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। সমাবেশ শুরুর দিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় যান চলাচলের জন্য একটি লেন করে দেয়া হলেও পরে নেতাকর্মীদের ভিড়ে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

সরকার ব্যর্থ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার সব কিছুতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা হাজার হাজার পুলিশ নিয়োগ দিচ্ছে কিন্তু দেশে ছিনতাই-রাহাজানি কমছে না। তারা সড়ক নিয়ে আইন করেছে অথচ রাস্তায় প্রতিদিনই মানুষ এক্সিডেন্টে মারা যাচ্ছে।আজকে ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, শেয়ার মার্কেট লুট করে নিয়েছে, ব্যাংক চলছে না। বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় দলীয়করণ করে নিয়েছে। মিডিয়াও দখল করে নিয়েছে। সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা সরকার চালাতে চায়, দেশ চালাতে চায়। কাজেই দেশকে যদি রক্ষা করতে হয়, নিজেদের রক্ষা করতে হয় তবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রিজভী হাওলাদারের মৃত্যুতে ফখরুল শোক জানিয়ে বলেন, তাকে সবসময়ই কার্যালয়ে দেখতাম বুকের মধ্যে ‘গণতন্ত্রের মায়ের মুক্তি চাই’ লিখে রাখতেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করছে। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা ছাড়া তাদের বিকল্প নেই।

মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র বিকল্প হল আন্দোলন। আন্দোলনের কথা শুধু স্লোগান দিলে হবে না, কর্মসূচি দিতে হবে। খুব শিগগিরই আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় নেমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, দেশে আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, প্রভুদের খুশি করতে বিনা কারণে খালেদা জিয়াকে কারা অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। সব বাধা উপেক্ষা করে তাকে বের করে আনতে হবে। দেশের জনগণ জেলের তালা ভেঙে নেত্রীকে মুক্ত করে আনবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ সরকার থাকলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। তাই প্রথমে প্রয়োজন সরকারের পতন। সমাবেশ বা জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। ’৭১-এ স্লোগান দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়নি। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে হয়েছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বহুদিন কষ্ট করেছেন। জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। এখন রাজপথে নামতে হবে। অধিকার আদায় করতে হবে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যে দেশে আইনের শাসন নেই সেখানে আইনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে তা বিশ্বাস করার কারণ নেই। সারা বিশ্বে গণতন্ত্রেও মহানায়করা যেভাবে মুক্ত হয়েছেন খালেদা জিয়াকেও সেভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। এ বছরের মাঝামাঝি তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (হাসপাতালে) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন আছেন। তার স্বজনেরা অভিযোগ করে আসছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। জামিনে মুক্তি পেলে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করাবেন স্বজনেরা।

 ‘আর সমাবেশের অনুমতি নেবে না বিএনপি’

রবিবারের সমাবেশের জন্য সকাল ১০টায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এরপর আমরা আর কোনও অনুমতি নেবো না। যখন প্রয়োজন হবে তখন সভা-সমাবেশ, মিটিং, মিছিল করবো। রাজপথে নামবো। এগুলো করা আমরা শাসনতান্ত্রিক অধিকার। সংবিধানিক অধিকার হচ্ছে—আমি আমার প্রতিবাদ করতে পারবো।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই নির্বাচন বাতিল করুন। নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন করুন। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন।’

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না। তাই আগে শেখ হাসিনার সরকারের পতন আন্দোলন করতে হবে। এই সরকারের পতন হলে তিনি এমনিতে মুক্ত হবেন।’