
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে গত কয়েক দিনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বুড়ি তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে আবাদীয় জমি ও আমনের বীজতলা। তিস্তায় পানি কমতে শুরু করলেও, কমেনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দুর্ভোগ।
বন্যা কবলিত ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে ভাড়ী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ী ঢলে বৃহস্পতিবার ভোরে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দরখাতা গ্রামে বুড়ি তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার অংশ ভেঙে যায়। ফলে, ওই উপজেলার সুন্দরখাতা, মধ্য সুন্দরখাতা, রূপাহারা, সিংপাড়া, মাইঝালির ডাঙাসহ প্রায় ১০টি গ্রামে বুড়ি তিস্তা নদীর পানি প্রবেশ করে। এতে পানিতে তলিয়ে যায় এসব গ্রামের বেশ কিছু আবাদীয় ফসলী জমিসহ সদ্য আমন ধানের বীজতলা।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বৃহস্পতিবার (জুন ২০) তিস্তায় পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও, আজ শুক্রবার (২১ জুন) সকাল থেকেই তা কমতে শুরু করেছে। দুপুর ১২টা থেকে তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৪৩ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ডিমলা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, “বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার অন্তত ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে”।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, “বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এটি আমাদের আওতায় কি না, এ বিষয়ে সন্দেহ আছে। এখন পানি না কমা পর্যন্ত সেখানে মালামাল নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে বাঁধ সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে”