
খোঁজ খবর ডেস্ক : “ডুবন্ত জাহাজের মতো লেবাননের অবস্থা” দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরি। বাড়ছে রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা। শিয়াপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবোল্লাহর ঘনিষ্ঠ নাবিহ বেরি সংসদে উপস্থিত ব্যক্তিদের জানান, নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া বর্তমানে একেবারেই স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। দেশের অবস্থা ডুবন্ত জাহাজের মতো, যাকে উদ্ধার করতে প্রয়োজন কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ। বিভিন্ন দেশের কাছে বাড়তে থাকা দেনা ও আর্থিক মন্দার পরিবেশে লেবাননে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ২৯ অক্টোবর জনগণের চাপে পদত্যাগ করেন তিনি।
বাড়তে থাকা জনরোষের মধ্যে দেশের ব্যাংকগুলো জানায়, কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে তারা। সপ্তাহে এক হাজার ডলারের বেশি অর্থ তুলতে পারবেন না কেউ। পাশাপাশি কেউ জরুরি খরচ ছাড়া বড় অঙ্কের লেনদেন করতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে। ব্যাংকের কর্মচারীরাও ধর্মঘটে রয়েছেন।
লেবাননে নতুন সরকার গঠনে জটিলতা: হেজবোল্লাহ বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চোখে একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। এই হেজবোল্লাহ ও স্পিকার বেরি দুজনেই চাইতেন সরকার চালান আল-হারিরি। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, লেবাননের রাষ্ট্রকাঠামো অনুযায়ী, একজন সুন্নি মুসলিম ব্যক্তিই কেবল লেবাননের প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে পারেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ সাফাদির প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হলে তিনি তা নাকচ করে দেন। তাই নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া থেমে রয়েছে। সামনে নেই কোনো নির্দিষ্ট প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। এদিকে, ইরান-ঘনিষ্ঠ হেজবোল্লাহ জানিয়েছে যে, প্রতিবাদী গোষ্ঠীদের সঙ্গে ‘রাজনৈতিক সমঝোতার পথ’ খুঁজছে তারা। ফলে, কী হবে লেবাননের ভবিষ্যৎ, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।