রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাড়াশে পিতার দায়িত্ব পালন করলেন অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ এমপি

পিতৃহীন কন্যাকে বিয়ে দিয়ে পিতার দায়িত্ব পালন করলেন সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও সলঙ্গা আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ

সিরাজগঞ্জে অসহায় হত দরিদ্র পরিবারের পিতৃহীন দুইটি কন্যার বিয়ের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে পিতার দায়িত্ব পালন করলেন সিরাজগঞ্জ- ৩ (তাড়াশ রায়গঞ্জ ও সলঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি। শুক্রবার (২জুন) রাতে তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে পিতৃহীন মেয়ে স্বপ্নার (১৯) বাড়িতে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এসময় এমপি বর আরিফের হাতে কনেকে তুলে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

জানাগেছে, ২৫এপ্রিল/১৯ সালে তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে বোরো ধান কাটতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে জমিতেই মারা যান হতদরিদ্র কৃষি শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম। পরের দিন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় “ধান কাটতে গিয়ে হিট স্টোকে মারা গেলেন কৃষি শ্রমিক সিরাজুল” অসহায় দুই কন্যাকে নিয়ে মা রূপবান দিশেহারা ” । পরে  সমাজে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। প্রকাশিত সংবাদ গুলো নজরে আসে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি’র। ঘটনার ২দিন পর ২৭শে এপ্রিল স্ত্রী ডা. হাফিজা সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ওই অসহায় হতদরিদ্রের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ান স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ। ওইদিন এমপি আব্দুল আজিজ ও তাঁর স্ত্রী ডাক্তার হাফিজা সুলতানা দুই মেয়ের পড়াশোনা ও বিবাহের দায়িত্বর পাশাপাশি সংসারের যাবতীয় ব্যয় ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি।

 

জাতীয় সংসদ সদস্যর প্রতি শ্রুতি অনুসারে দুই মাসের মধ্যে ঘড় নির্মাণ ও ঘড়ের সমস্ত ফার্নিচার কিনে দেন। এরপর গত চার বছরে লেখাপড়ার ব্যায়ের পাশাপাশি ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ স্ব শরীরে হাজির হয়ে আর্থিক সহযোগীতা, ঈদ সামগ্রী বিতরণসহ সুখ দুঃখের পাশে থেকেছেন।

ইতিমধ্যে স্বপ্নার বিয়ের বিষয়ে কথা বলেন এমপি মহোদয়ের সাথে তার মা রূপভান। জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ আব্দুল আজিজ স্বপ্নার বিয়ে দেখাশোনার জন্য দায়িত্ব দেন বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার উপর। স্বপ্নার (১৯) বিয়ে ঠিক হয় একই ইউনিয়নের সরাবাড়ি গ্রামের রওশন আলীর ছেলে আরিফের সাথে।  বিয়ের অনুষ্ঠানের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করেন এমপি আব্দুল আজিজ।

গত ২জুন রাত সাড়ে ৯টায় সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দূল আজিজ চলে আসেন বিয়ে বাড়ীতে। সেখানে বিয়ে করতে আসা বারুহাস ইউনিয়নের সরবাড়ী গ্রামের মোঃ রওশন আলীর ছেলে মোঃ আরিফের হাতে এতিম কন্যা স্বপ্নাকে তুলে দেন জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি।

 

এ ব্যাপারে সিরাজুল ইসলামের বিধবা স্ত্রী রূপবান খাতুন বলেন, এমপি আব্দুল আজিজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তিনি আরও বলেন আমার ঘর ছিলনা, ছিলনা খাবার, এতো দুরাবস্থা ছিল তা প্রকাশ করার মতো নয়। এমপি সাহেব খুব তাড়াতাড়ি আমার সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ মেয়ে স্বপ্নার বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে কন্যা দায় থেকে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন। আমি ততদিন বেঁচে থাকবো ততদিন আল্লাহর কাছে দোয়া করি, উনি যেন ভালো থাকেন। এভাবেই আমার মত অসহায় হত দরিদ্র মানুষের সেবা করে যেতে পারেন।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম, বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সনাতন দাশ, ওয়ার্ড আ’লীগের সম্পাদক মোঃ আব্দুস সামাদ, ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

উল্লেখ্য: সিরাজুল ইসলামের বড় মেয়ে শাবনুরের বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব বহন করেছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি। পরপর দুটি অসহায় হত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে বিয়ে দিয়ে এলাকাবাসীর নিকট আস্তা ও মানবতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Zannatul Ferdoush Jewel

Online News Portal

এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক পাচ্ছেন ২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান

তাড়াশে পিতার দায়িত্ব পালন করলেন অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ এমপি

Update Time : ০৫:৫৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

সিরাজগঞ্জে অসহায় হত দরিদ্র পরিবারের পিতৃহীন দুইটি কন্যার বিয়ের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে পিতার দায়িত্ব পালন করলেন সিরাজগঞ্জ- ৩ (তাড়াশ রায়গঞ্জ ও সলঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি। শুক্রবার (২জুন) রাতে তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে পিতৃহীন মেয়ে স্বপ্নার (১৯) বাড়িতে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এসময় এমপি বর আরিফের হাতে কনেকে তুলে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

জানাগেছে, ২৫এপ্রিল/১৯ সালে তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে বোরো ধান কাটতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে জমিতেই মারা যান হতদরিদ্র কৃষি শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম। পরের দিন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় “ধান কাটতে গিয়ে হিট স্টোকে মারা গেলেন কৃষি শ্রমিক সিরাজুল” অসহায় দুই কন্যাকে নিয়ে মা রূপবান দিশেহারা ” । পরে  সমাজে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। প্রকাশিত সংবাদ গুলো নজরে আসে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি’র। ঘটনার ২দিন পর ২৭শে এপ্রিল স্ত্রী ডা. হাফিজা সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ওই অসহায় হতদরিদ্রের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ান স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ। ওইদিন এমপি আব্দুল আজিজ ও তাঁর স্ত্রী ডাক্তার হাফিজা সুলতানা দুই মেয়ের পড়াশোনা ও বিবাহের দায়িত্বর পাশাপাশি সংসারের যাবতীয় ব্যয় ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি।

 

জাতীয় সংসদ সদস্যর প্রতি শ্রুতি অনুসারে দুই মাসের মধ্যে ঘড় নির্মাণ ও ঘড়ের সমস্ত ফার্নিচার কিনে দেন। এরপর গত চার বছরে লেখাপড়ার ব্যায়ের পাশাপাশি ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ স্ব শরীরে হাজির হয়ে আর্থিক সহযোগীতা, ঈদ সামগ্রী বিতরণসহ সুখ দুঃখের পাশে থেকেছেন।

ইতিমধ্যে স্বপ্নার বিয়ের বিষয়ে কথা বলেন এমপি মহোদয়ের সাথে তার মা রূপভান। জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ আব্দুল আজিজ স্বপ্নার বিয়ে দেখাশোনার জন্য দায়িত্ব দেন বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার উপর। স্বপ্নার (১৯) বিয়ে ঠিক হয় একই ইউনিয়নের সরাবাড়ি গ্রামের রওশন আলীর ছেলে আরিফের সাথে।  বিয়ের অনুষ্ঠানের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করেন এমপি আব্দুল আজিজ।

গত ২জুন রাত সাড়ে ৯টায় সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দূল আজিজ চলে আসেন বিয়ে বাড়ীতে। সেখানে বিয়ে করতে আসা বারুহাস ইউনিয়নের সরবাড়ী গ্রামের মোঃ রওশন আলীর ছেলে মোঃ আরিফের হাতে এতিম কন্যা স্বপ্নাকে তুলে দেন জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি।

 

এ ব্যাপারে সিরাজুল ইসলামের বিধবা স্ত্রী রূপবান খাতুন বলেন, এমপি আব্দুল আজিজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তিনি আরও বলেন আমার ঘর ছিলনা, ছিলনা খাবার, এতো দুরাবস্থা ছিল তা প্রকাশ করার মতো নয়। এমপি সাহেব খুব তাড়াতাড়ি আমার সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ মেয়ে স্বপ্নার বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে কন্যা দায় থেকে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন। আমি ততদিন বেঁচে থাকবো ততদিন আল্লাহর কাছে দোয়া করি, উনি যেন ভালো থাকেন। এভাবেই আমার মত অসহায় হত দরিদ্র মানুষের সেবা করে যেতে পারেন।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম, বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সনাতন দাশ, ওয়ার্ড আ’লীগের সম্পাদক মোঃ আব্দুস সামাদ, ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

উল্লেখ্য: সিরাজুল ইসলামের বড় মেয়ে শাবনুরের বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব বহন করেছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি। পরপর দুটি অসহায় হত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে বিয়ে দিয়ে এলাকাবাসীর নিকট আস্তা ও মানবতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।