সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ভূমি ও গৃহহীন ১৫ জন পরিবারের মাঝে ২ শতাংশ জমি ও ঘরের কাগজ পত্রসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন থেকে ভিভিও কনফারন্সেরে মাধ্যমে এই সব ঘরের হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। এসব ঘর পেয়ে মহাখুশি গৃহহীন পরিবার গুলো।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ে নকশা অনুযায়ী দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৯ ফুট, প্রস্থ ২২ ফুটসহ সাড়ে ৮ ফুট উচ্চতা সম্বলিত একটি ঘরে বারান্দা, ৮ ফুট করে দু’টি কক্ষ, একটি রান্না ঘর, একটি গোসল খানা, একটি লেট্রিনের ব্যবস্থা আছে। ঘরগুলো নির্মিত হয়েছে দেড় ফুট মাটির নিচে ১০ ইঞ্চি ইটের ওপর ৫ ইঞ্চি দেয়ালের গাঁথুনি দিয়ে। প্রতিটি ঘরের জন্য ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫ শত টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে এসব ঘর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া সরকারি জমিসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত সরকারি বাসগৃহ পেয়ে মহাখুশি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার গুলো। প্রতিশ্রুতি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়িত হচ্ছে। অন্যদিকে বন্দোবস্তকৃত খাঁস জমির কবুলিয়তসহ সরকারি খরচে নির্মিত সেমিপাকা বাসগৃহ পেয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আনন্দ আত্তহারা হয়ে পড়েছে গৃহহীন পরিবার।
বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী ইমন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম সারোয়ার রাব্বী (ভারপ্রাপ্ত), উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন, দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, রৌমারী থানার সাব ইন্সপেক্টর আনছার আলী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তারেক রহমান, উপজেলা আ‘লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিনু, উপজেলা আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা,উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মুক্তার হোসেনসহ আরও অনেকে।
যাদুরচর ইউনিয়নের লালকুড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়ে হাজেরা খাতুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য যে ঘর দিয়েছে তাতে আমরা অনেক খুশি। স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, আমারা জমিসহ ইটের একখানা নতুন ঘর পাবো। এর বিনিময়ে প্রধানন্ত্রীর শেখ হাসিনার সম্মান আল্লাহ আরও বাড়িয়ে দিক।