শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধা-৫ আসনে নৌকার মাঝি মাহমুদ হাসান রিপন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৫ Time View

গাইবান্ধা-৫ আসনে মনোনয়ন পেলেন মাহমুদ হাসান রিপন

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপ-নির্বাচন আগামি ১২ অক্টোবর। এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ১০টি  মনোনয়ন ফরম জমা পড়ে।  আজ বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভাতেই গাইবান্ধা-৫ আসনে নৌকার কান্ডারী ঘোষনা করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের নাম।

মাহমুদ হাসান রিপন ছাড়াও এই আসনে যারা নৌকার কান্ডারী হতে চেয়েছিলেন তারা হচ্ছেন, ডেপুটি স্পিকার মরহুম ফজলে রাব্বীর মেয়ে ফারজানা রাব্বী ও ছোটভাই ফরহাদ রাব্বীর স্ত্রী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লুদমিলা পারভীন, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসিল আরেফিন, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবর রহমান, সাবেক যুবলীগ নেতা আইনজীবি সুশীল চন্দ্র সরকার ও নুরুল আমিন এবং যুবলীগ নেত্রী শাপলা আক্তার।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রয়াত ফজলে রাব্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) আমলে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। দল পাল্টিয়ে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করে রওশন এরশাদের কাছে হেরে যান। সেময় জাপার দুর্গ ভেঙ্গে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেন মাহমুদ হাসান রিপন। ২০০৬ সাল থেকে পাঁচবছর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন নেতাকর্মীরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেন। সভাপতির সুবাদে তিনি উন্নয়নের মাধ্যমে অবহেলিত এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে দেন। দুই উপজেলার তরুণ ও যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। তখন থেকে দলকে চাঙ্গা রেখেছেন মাহমুদ হাসান রিপন।

তাদের মতে, বিগত ১৬ বছর ফজলে রাব্বী বেঁচে থাকতে প্রতিটি নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়েও দলকে চাঙ্গা রেখেছেন।  এসময়ের কাজ ও তৃণমুল নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন বিবেচনায় উপ-নির্বাচনে দলও তাকে মুল্যায়ন করেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।

দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতারা তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পালন করতে সাঘাটা-ফুলছড়ি বাসিকে একসাথে নিয়ে কাজ করবেন। তার এই মনোনয়ন সাঘাটা-ফুলছড়ি বাসির পাশাপাশি জনগণের আশার প্রতিফলন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Zannatul Ferdoush Jewel

Online News Portal
Popular Post

তেঁতুলিয়ায় ক্ল ুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, বীরগঞ্জ থেকে আসামি আটক

গাইবান্ধা-৫ আসনে নৌকার মাঝি মাহমুদ হাসান রিপন

Update Time : ০৬:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপ-নির্বাচন আগামি ১২ অক্টোবর। এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ১০টি  মনোনয়ন ফরম জমা পড়ে।  আজ বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভাতেই গাইবান্ধা-৫ আসনে নৌকার কান্ডারী ঘোষনা করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের নাম।

মাহমুদ হাসান রিপন ছাড়াও এই আসনে যারা নৌকার কান্ডারী হতে চেয়েছিলেন তারা হচ্ছেন, ডেপুটি স্পিকার মরহুম ফজলে রাব্বীর মেয়ে ফারজানা রাব্বী ও ছোটভাই ফরহাদ রাব্বীর স্ত্রী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লুদমিলা পারভীন, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসিল আরেফিন, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবর রহমান, সাবেক যুবলীগ নেতা আইনজীবি সুশীল চন্দ্র সরকার ও নুরুল আমিন এবং যুবলীগ নেত্রী শাপলা আক্তার।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রয়াত ফজলে রাব্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) আমলে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। দল পাল্টিয়ে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করে রওশন এরশাদের কাছে হেরে যান। সেময় জাপার দুর্গ ভেঙ্গে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেন মাহমুদ হাসান রিপন। ২০০৬ সাল থেকে পাঁচবছর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন নেতাকর্মীরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেন। সভাপতির সুবাদে তিনি উন্নয়নের মাধ্যমে অবহেলিত এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে দেন। দুই উপজেলার তরুণ ও যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। তখন থেকে দলকে চাঙ্গা রেখেছেন মাহমুদ হাসান রিপন।

তাদের মতে, বিগত ১৬ বছর ফজলে রাব্বী বেঁচে থাকতে প্রতিটি নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়েও দলকে চাঙ্গা রেখেছেন।  এসময়ের কাজ ও তৃণমুল নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন বিবেচনায় উপ-নির্বাচনে দলও তাকে মুল্যায়ন করেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।

দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতারা তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পালন করতে সাঘাটা-ফুলছড়ি বাসিকে একসাথে নিয়ে কাজ করবেন। তার এই মনোনয়ন সাঘাটা-ফুলছড়ি বাসির পাশাপাশি জনগণের আশার প্রতিফলন।