শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহজাদপুরে কচু চাষে সাফল্য দেখছেন কৃষকরা

সম্প্রতি বছরগুলোতে সবজি হিসেবে কচুর চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। আর কচু দূর্যোগ সহনীয় ও আনান্য সবজির চেয়ে তুলনামুলক লাভজনক আবাদ হওয়ার কারণে সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে সবজি চাষিরা কচু চাষে ঝুঁকছেন। প্রতিবিঘা জমিতে কচু চাষ করতে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ১ বিঘা থেকে উৎপাদিত কচুর ডাটাসহ পাতা, কচুর লতা ও কচু বিক্রি হয় এক লক্ষ ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। একইভাবে বাজারে কচুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি থাকায় কৃষকরা বাজার দরও ভালো পাচ্ছে।

সব মিলিয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। স্থানীয় চাহীদা মিটিয়ে এ অঞ্চলের কচু বিক্রির জন্যে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বড় মহারাজপুর গ্রামে এবার সবচেয়ে বেশি কচুর চাষ হয়েছে। এছাড়াও বেলতৈল ও রুপবাটি ইউনিয়নেও কচুর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার কচুর বাম্পার ফলনও হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কৃষিবিদ এহসানুল হক বলেন, এটেল মাটিতে কচুর চাষ ভালো হয়। তবে দোঁ-আশ মাটিতেও কচুর চাষ হয়ে থাকে। তবে অঞ্চলের দুই ধরনের কচুর চাষ হয় পানি কচু আর লতি কচু। উপজেলা কৃষি দপ্তর বিনা মূল্যে চারা, সার সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের কচু চাষে উৎসাহ ও পরার্মশ দিয়ে সহযোগীতা করে যাচ্ছে। শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম জানান, কচু চাষে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়না, সাথী ফসল বা সবজি হিসেবেও চাষ করা যায়, খরচ কম ও সহজে বিক্রি করা যায়, লাভও হয় ভালো। তাই কৃষকরা কচু চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠছে।

উপজেলায় এবছর প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে কচু চাষ করা হয়েছে। কৃষকেরা বিঘা প্রতি খরচ বাদে প্রায় এক লক্ষ ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে লাভ হবে বলে আশাবাদী তিনি। আগামীতে কচু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি দপ্তর।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Zannatul Ferdoush Jewel

Online News Portal

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

শাহজাদপুরে কচু চাষে সাফল্য দেখছেন কৃষকরা

Update Time : ০২:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

সম্প্রতি বছরগুলোতে সবজি হিসেবে কচুর চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। আর কচু দূর্যোগ সহনীয় ও আনান্য সবজির চেয়ে তুলনামুলক লাভজনক আবাদ হওয়ার কারণে সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে সবজি চাষিরা কচু চাষে ঝুঁকছেন। প্রতিবিঘা জমিতে কচু চাষ করতে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ১ বিঘা থেকে উৎপাদিত কচুর ডাটাসহ পাতা, কচুর লতা ও কচু বিক্রি হয় এক লক্ষ ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। একইভাবে বাজারে কচুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি থাকায় কৃষকরা বাজার দরও ভালো পাচ্ছে।

সব মিলিয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। স্থানীয় চাহীদা মিটিয়ে এ অঞ্চলের কচু বিক্রির জন্যে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বড় মহারাজপুর গ্রামে এবার সবচেয়ে বেশি কচুর চাষ হয়েছে। এছাড়াও বেলতৈল ও রুপবাটি ইউনিয়নেও কচুর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার কচুর বাম্পার ফলনও হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কৃষিবিদ এহসানুল হক বলেন, এটেল মাটিতে কচুর চাষ ভালো হয়। তবে দোঁ-আশ মাটিতেও কচুর চাষ হয়ে থাকে। তবে অঞ্চলের দুই ধরনের কচুর চাষ হয় পানি কচু আর লতি কচু। উপজেলা কৃষি দপ্তর বিনা মূল্যে চারা, সার সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের কচু চাষে উৎসাহ ও পরার্মশ দিয়ে সহযোগীতা করে যাচ্ছে। শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম জানান, কচু চাষে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়না, সাথী ফসল বা সবজি হিসেবেও চাষ করা যায়, খরচ কম ও সহজে বিক্রি করা যায়, লাভও হয় ভালো। তাই কৃষকরা কচু চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠছে।

উপজেলায় এবছর প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে কচু চাষ করা হয়েছে। কৃষকেরা বিঘা প্রতি খরচ বাদে প্রায় এক লক্ষ ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে লাভ হবে বলে আশাবাদী তিনি। আগামীতে কচু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি দপ্তর।