
বিশেষ প্রতিবেদক : জনবল সংকটে গাইবান্ধা সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন শাহ্ একাই সামলাচ্ছেন সমাজসেবার তিন দপ্তর। অন্য দুই দপ্তর হচ্ছে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয় ও প্রবেশন কর্মকর্তার কার্যালয়। নাসির উদ্দিন শাহ্ এই দুই দপ্তরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে এ দুই দপ্তরে নির্দিষ্ট কর্মকর্তা না থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহতসহ সেবাপ্রত্যাশী জনগণ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা বদলী হন ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি ও প্রবেশন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা বদলী হন গত বছরের ১৪ জুলাই। এরপর এই দুই পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন শাহ্’কে। তারপর থেকে তিনি একাই সামলাচ্ছেন জেলা সমাজসেবার এই তিন দপ্তর।
এদিকে, হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয় ও প্রবেশন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্দিষ্ট কর্মকর্তা না থাকায় যে কোন কাজ আটকে থাকে। হয় ফাইল নিয়ে যেতে হয় সদর উপজেলা পরিষদে ও নয়তো সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় একদিন-দুদিন ধরে। সেবা প্রত্যাশী নাগরিকেরা এই দুই দপ্তরে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে না পেয়ে হয়রানীর শিকার হন। নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে না পেয়ে তারা ফেরত চলে যান। কর্মকর্তার খোঁজে পরে তাদেরকে যেতে হয় সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার দপ্তরে।
অপরদিকে, শুন্য পদে জনবল চেয়ে সর্বশেষ গত বছরের ৯ নভেম্বর রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ে আবেদন করেন গাইবান্ধা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক। পরে সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করে রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়। সেই আবেদন দেওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও কোন জনবল দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন শাহ্ বলেন, আমি একাই তিন দপ্তরের কাজ সামাল দিতে পারছি না। এক দপ্তরের কাজ সামাল দিতে গিয়ে আরেক দপ্তরের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসকসহ জেলা সমাজসেবার উপপরিচালককে জানিয়েছি।
একই প্রসঙ্গে গাইবান্ধা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই পদ দুটিসহ সাঘাটা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) উপতত্ত্বাবধায়কের পদ শুন্য রয়েছে। পদগুলো শুন্য থাকায় কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন ও কার্যক্রমের রিপোর্ট রিটার্ন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুন্যপদে জনবল চেয়ে অনেকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোন কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়নি।