বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় মহাবিপন্ন প্রাণিসহ মোট ৪৯টি বন্য প্রাণী উদ্ধার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
  • ১৫৮ Time View

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় লাইসেন্সবিহীন একটি ছোট চিড়িয়াখানা থেকে মহাবিপন্ন প্রাণিসহ মোট ৪৯টি বন্য প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই চিড়িয়াখানা থেকে ঢাকার বন্য প্রাণি অপরাধ দমন ইউনিট, খুলনার বন্য প্রাণি ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং বন বিভাগ, খুলনা অঞ্চল বন্য প্রাণিগুলো উদ্ধার করে।

উদ্ধার করা বন্য প্রাণিগুলোর মধ্যে রয়েছেতিনটি বানর, একটি দাগি রাজহাঁস, একটি খয়রা চখাচখি, একটি গুইসাপ, একটি অজগর, একটি মদনটাক, একটি ভুতুম প্যাঁচা, ১৭টি পাতি সরালি, একটি লোনা পানির কুমির, তিনটি চিত্রা হরিণ, একটি ম্যাকাও, একটি ময়ূর, একটি শিয়াল, একটি পালাসি ইগল, তিনটি তিলা ঘুঘু, একটি ধুপনী বক, একটি ভুবনচিল, একটি বাজপাখি, একটি উল্লুক, একটি লালচে হনুমান, দুটি শজারুসহ মোট ৪৯টি বন্য প্রাণি

জানা যায়, এই বন্য প্রাণিগুলো সাতক্ষীরা সদরের মন্টু মিয়ার বাগানবাড়ি মিনি চিড়িয়াখানা থেকে উদ্ধার করা হয়। চিড়িয়াখানাটির লাইসেন্স নেই।

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুযায়ী উল্লুক, লোনা পানির কুমির, মদনটাক, দাগি রাজহাঁস, খয়রা চখাচখি, শজারু পালাসি ইগল মহাবিপন্ন প্রাণি।

মন্টু মিয়ার কথিত চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলো আমাদের চিড়িয়াখানায় ছিল। আমরা চিড়িয়াখানার লাইসেন্সের জন্য অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আমাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। ২০০৪০৫ সালের দিকে ঢাকার বিভিন্ন মাধ্যমে এই বন্য প্রাণিগুলো এখানে আনা হয়েছিল। লাইসেন্স না পাওয়ায় এগুলো আমরা হস্তান্তর করেছি।

বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্য প্রাণী পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বলেন, ‘২০০৯ সালে এই বন্য প্রাণিগুলো একবার জিম্মায় নেওয়া হয়েছিল। তারা (মন্টু মিয়া) লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু পায়নি। অবস্থায় বন্য প্রাণিগুলো নিয়ে যাওয়া হলো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

সাতক্ষীরায় মহাবিপন্ন প্রাণিসহ মোট ৪৯টি বন্য প্রাণী উদ্ধার

Update Time : ০৩:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় লাইসেন্সবিহীন একটি ছোট চিড়িয়াখানা থেকে মহাবিপন্ন প্রাণিসহ মোট ৪৯টি বন্য প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই চিড়িয়াখানা থেকে ঢাকার বন্য প্রাণি অপরাধ দমন ইউনিট, খুলনার বন্য প্রাণি ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং বন বিভাগ, খুলনা অঞ্চল বন্য প্রাণিগুলো উদ্ধার করে।

উদ্ধার করা বন্য প্রাণিগুলোর মধ্যে রয়েছেতিনটি বানর, একটি দাগি রাজহাঁস, একটি খয়রা চখাচখি, একটি গুইসাপ, একটি অজগর, একটি মদনটাক, একটি ভুতুম প্যাঁচা, ১৭টি পাতি সরালি, একটি লোনা পানির কুমির, তিনটি চিত্রা হরিণ, একটি ম্যাকাও, একটি ময়ূর, একটি শিয়াল, একটি পালাসি ইগল, তিনটি তিলা ঘুঘু, একটি ধুপনী বক, একটি ভুবনচিল, একটি বাজপাখি, একটি উল্লুক, একটি লালচে হনুমান, দুটি শজারুসহ মোট ৪৯টি বন্য প্রাণি

জানা যায়, এই বন্য প্রাণিগুলো সাতক্ষীরা সদরের মন্টু মিয়ার বাগানবাড়ি মিনি চিড়িয়াখানা থেকে উদ্ধার করা হয়। চিড়িয়াখানাটির লাইসেন্স নেই।

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুযায়ী উল্লুক, লোনা পানির কুমির, মদনটাক, দাগি রাজহাঁস, খয়রা চখাচখি, শজারু পালাসি ইগল মহাবিপন্ন প্রাণি।

মন্টু মিয়ার কথিত চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলো আমাদের চিড়িয়াখানায় ছিল। আমরা চিড়িয়াখানার লাইসেন্সের জন্য অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আমাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। ২০০৪০৫ সালের দিকে ঢাকার বিভিন্ন মাধ্যমে এই বন্য প্রাণিগুলো এখানে আনা হয়েছিল। লাইসেন্স না পাওয়ায় এগুলো আমরা হস্তান্তর করেছি।

বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্য প্রাণী পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বলেন, ‘২০০৯ সালে এই বন্য প্রাণিগুলো একবার জিম্মায় নেওয়া হয়েছিল। তারা (মন্টু মিয়া) লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু পায়নি। অবস্থায় বন্য প্রাণিগুলো নিয়ে যাওয়া হলো।