
খোঁজ খবর রিপোর্ট: মোসারাত জাহান মুনিয়ার ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পুলিশ দাখিল করেছে, তাতে নারাজি (প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থা) জানিয়েছেন মুনিয়ার বোন মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হাজির হয়ে মুনিয়ার বড় বোন ও মামলার বাদী নুসরাত জাহান এই নারাজি আবেদন জমা দেন। আবেদনে অন্য কেনো সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি তদন্তের দাবি জানান তিনি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্তে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। বিভিন্ন অডিও ভিডিও সারাদেশে ভাইরাল হয়েছে। তদন্তে মুনিয়ার পরিবার ন্যায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই অন্য কোনো তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে পুনরায় তদন্ত না করা হলে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত ১৯ জুলাই আদালতে ‘ফাইনাল রিপোর্ট’দাখিল করেন। গত জুলাই মাসে মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় সায়েম সোবহানকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
বাদীর অন্যতম আইনজীবী ব্যরিস্টার এম সরোয়ার হোসেন জানান, গত ২৯ জুলাই মামলার ধার্য তারিখেই মামলার বাদী নারাজি আবেদন জমা দিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু লকডাউনে আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তা জমা নেওয়া হয়নি।
এরপর ৮ অগাস্ট আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হলে পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন এখনই গ্রহণ না করে নারাজি আবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন তানিয়ার আইনজীবীরা। তা মঞ্জুর করে আদালত সেদিন চূড়ান্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য ১৭ অগাস্ট দিন ধার্য করেন।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে। মোসারাত জাহান কুমিল্লার উজির দিঘিরপাড় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমানের মেয়ে