সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা কালে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত রোগীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৪৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
  • ২০৪ Time View

পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ  সরকারি চিকিৎসকগণ আমাদের সকলের প্রিয়জন আস্থা ভাজন সেবক যাদের নিকট দেশের প্রতিটি নাগরিক পাবে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কিন্তু সেবা প্রদানের আগেই রোগীদের মধ্যে চিকিৎসক কর্তৃক করোনার আতংঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমন চিত্র গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে করোনা উপসর্গ থাকায় চিকিৎসা পাচ্ছে না রোগীরা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী সহ স্থানীয়দের।

করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে চলছে সরকারি চিকিৎসা সেবা প্রদানে বেহাল অবস্থা। এমতবস্থায় বিত্তবানরা টাকা জোড়ে উন্নত চিকিৎসা পেলেও অসহায় মানুষ গুলো ব্যাপক ভাবে পড়েছে বিপাকে। উপসর্গসহ বা উপসর্গ ছাড়া রোগীদের মাঝে আতংঙ্ক সৃষ্টি করছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ বাধ্য হয়ে অন্যান্য রোগ আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ীতে বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অপরদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দাবী করেছেন প্রাথমিক চিকিৎসাসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে আমরা চলছি সরকারি স্বাস্থ্য সেবার সকল সুবিধা পাচ্ছে উপজেলা সর্বস্তরের মানুষ।

চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত স্থানীয় শেফালি বেগম জানান, নিয়ম অনুযায়ী টিকিট নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের নিকট গেলে তিনি টিকিটটি নিয়ে আমাকে ঔষুধ না দিয়ে চলে যেতে বলেন এবং উক্ত টিকিটটি ফেরত চাইলে তিনি আমাকে পুলিশের ভয় দেখান।

স্থানীয় এ্যাজমা রোগী সোবাহান জানান, আমরা হাসপাতালে এসে কোন প্রকার চিকিৎসা পাই না। করোনার দোহাইয়ে আমাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় না নিরুপায় হয়ে ফিরে যেতে হয়। চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত গামা মিয়া জানান, টিকিট নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের নিকট গেলে তিনি কোন প্রকার ঔষুধ পত্র না দিয়ে হাসপাতাল হতে বেড়িয়ে যেতে বলেন এরপরে টিকিটটি ফিরিয়ে চাইলে তিনি এসময় ভুক্তভোগী রোগীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ায় হুমকি প্রদান করেন।

স্থানীয় অন্যান্য একাধিক ব্যক্তি জানান, যে কোন রোগের রোগী আসা মাত্র কোন প্রকার চিকিৎসা না দিয়ে রেফার্ড করেন। সাধারণ রোগীরাসহ অন্যান্য জটিল ও কঠিন রোগীরা হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে চাইলে তাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ভয়ভীতি দেখান। এতে করে রোগীরা বাধ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ীতে বা অন্য কোন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য জিল্লুর রহমান জানান, আমার বাবা এ্যাজমা ও ডায়াবেটিকসে রোগী আমি আমার বাবার জন্য টিএসি আনিছুর রহমানের নিকট গেলে তিনি আমার বাবাকে এলাও করবে না বলে জানিয়ে দেন। পরে তিনি বাধ্য হয়ে তার বাবাকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান । তিনি বলেন আমাদের না হয় অর্থ আছে অন্যত্র চিকিৎসা নিতে পারছি কিন্তু সমাজের দরিদ্র মানুষ গুলো এভাবে স্বাস্থ্য সেবা হতে বঞ্চিত হয়ে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্বাবধায়ক আনিছুর রহমান মোবাইলে জানান, আমরা রোগীদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছি যারা ইচ্ছায় বা অনইচ্ছায় নিজেদের করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নমুনা দিচ্ছেন আমরা তাদের আক্রান্ত হিসাবে ধরে নিচ্ছি এবং তাদের কোন জটিলতা না থাকায় আমরা তাদের বাসায় চিকিৎসা নেওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা কোন প্রকার চিকিৎসা দিতে এ পর্যন্ত কোন রোগীর নিকট অপারগতা প্রকাশ করিনি। তিনি আরো বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলাবাসীর জন্য স্বাস্থ্য সেবা চলমান রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক পাচ্ছেন ২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান

করোনা কালে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত রোগীরা

Update Time : ০৮:৪৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ  সরকারি চিকিৎসকগণ আমাদের সকলের প্রিয়জন আস্থা ভাজন সেবক যাদের নিকট দেশের প্রতিটি নাগরিক পাবে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কিন্তু সেবা প্রদানের আগেই রোগীদের মধ্যে চিকিৎসক কর্তৃক করোনার আতংঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমন চিত্র গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে করোনা উপসর্গ থাকায় চিকিৎসা পাচ্ছে না রোগীরা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী সহ স্থানীয়দের।

করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে চলছে সরকারি চিকিৎসা সেবা প্রদানে বেহাল অবস্থা। এমতবস্থায় বিত্তবানরা টাকা জোড়ে উন্নত চিকিৎসা পেলেও অসহায় মানুষ গুলো ব্যাপক ভাবে পড়েছে বিপাকে। উপসর্গসহ বা উপসর্গ ছাড়া রোগীদের মাঝে আতংঙ্ক সৃষ্টি করছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ বাধ্য হয়ে অন্যান্য রোগ আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ীতে বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অপরদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দাবী করেছেন প্রাথমিক চিকিৎসাসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে আমরা চলছি সরকারি স্বাস্থ্য সেবার সকল সুবিধা পাচ্ছে উপজেলা সর্বস্তরের মানুষ।

চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত স্থানীয় শেফালি বেগম জানান, নিয়ম অনুযায়ী টিকিট নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের নিকট গেলে তিনি টিকিটটি নিয়ে আমাকে ঔষুধ না দিয়ে চলে যেতে বলেন এবং উক্ত টিকিটটি ফেরত চাইলে তিনি আমাকে পুলিশের ভয় দেখান।

স্থানীয় এ্যাজমা রোগী সোবাহান জানান, আমরা হাসপাতালে এসে কোন প্রকার চিকিৎসা পাই না। করোনার দোহাইয়ে আমাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় না নিরুপায় হয়ে ফিরে যেতে হয়। চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত গামা মিয়া জানান, টিকিট নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের নিকট গেলে তিনি কোন প্রকার ঔষুধ পত্র না দিয়ে হাসপাতাল হতে বেড়িয়ে যেতে বলেন এরপরে টিকিটটি ফিরিয়ে চাইলে তিনি এসময় ভুক্তভোগী রোগীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ায় হুমকি প্রদান করেন।

স্থানীয় অন্যান্য একাধিক ব্যক্তি জানান, যে কোন রোগের রোগী আসা মাত্র কোন প্রকার চিকিৎসা না দিয়ে রেফার্ড করেন। সাধারণ রোগীরাসহ অন্যান্য জটিল ও কঠিন রোগীরা হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে চাইলে তাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ভয়ভীতি দেখান। এতে করে রোগীরা বাধ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ীতে বা অন্য কোন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য জিল্লুর রহমান জানান, আমার বাবা এ্যাজমা ও ডায়াবেটিকসে রোগী আমি আমার বাবার জন্য টিএসি আনিছুর রহমানের নিকট গেলে তিনি আমার বাবাকে এলাও করবে না বলে জানিয়ে দেন। পরে তিনি বাধ্য হয়ে তার বাবাকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান । তিনি বলেন আমাদের না হয় অর্থ আছে অন্যত্র চিকিৎসা নিতে পারছি কিন্তু সমাজের দরিদ্র মানুষ গুলো এভাবে স্বাস্থ্য সেবা হতে বঞ্চিত হয়ে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্বাবধায়ক আনিছুর রহমান মোবাইলে জানান, আমরা রোগীদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছি যারা ইচ্ছায় বা অনইচ্ছায় নিজেদের করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নমুনা দিচ্ছেন আমরা তাদের আক্রান্ত হিসাবে ধরে নিচ্ছি এবং তাদের কোন জটিলতা না থাকায় আমরা তাদের বাসায় চিকিৎসা নেওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা কোন প্রকার চিকিৎসা দিতে এ পর্যন্ত কোন রোগীর নিকট অপারগতা প্রকাশ করিনি। তিনি আরো বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলাবাসীর জন্য স্বাস্থ্য সেবা চলমান রয়েছে।