
দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গাছের সাথে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নিজ বাড়িতেই আরবী শিক্ষক কিশোর মিনহাজ (১৫)কে নিষ্ঠুরভাবে পেটালেন গৃহকর্তা। এ নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ স্ব উদ্দ্যোগে মামলা গ্রহন ও নির্যাতনকারী দুইজনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি বীরগঞ্জ থানা পুলিশের নজরে আসে। ওই দিনেই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন প্রধান নির্যাতিত কিশোরের স্বজনদের ডেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে মামলা নেন। এই মামলায় উপজেলার ঘোড়াবান্দ কেরানীপাড়া গ্রামের হাবিবর রহমানের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৪৫) ও তার স্ত্রী রমেনা বেগম (৪০) এবং সহযোগী রমজান আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৫)কে আসামী করা হয়েছে।
ঘটনা বিরবণে জানা যায়, আসামীর বাড়ীতে আবু বকরের ছোট মেয়েকে আরবী শিক্ষা দিয়ে আসছিল মিনহাজ। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় ছোট মেয়েটি পড়া না পারায় মিনহাজ মেয়েটিকে একটি চর-থাপ্পড় মারাকে কেন্দ্র করে তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মিনহাজ (১৫) নামে ওই কিশোরকে গাছের সাথে বেঁধে শক্ত বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্যাতন চালানোর একপর্যায়ে সে গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী নুর, রফিকুল ইসলাম ও হাফিজুল মিনহাজকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আনোয়ার উল্ল্যাহ্ আহত মিনহাজের হাসপাতালে ভর্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নির্যাতিত কিশোরের বাবা বাদী হয়ে গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে বীরগঞ্জ থানায় ১৮৬০ সালের ফৌজদারি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং -৬ তারিখ ৩০/৪/২০২০
মামলা দায়েরের পর রাতেই বীরগঞ্জ থানার এস আই আলন চন্দ্রের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান আসামি আবু বকর সিদ্দিক ও সহযোগি আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন।