কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ পরকীয়ায় বাঁধা দিলেই নেমে আসে স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন। আর স্বামীর এই অকথ্য নির্যাতন সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সোনাভরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান আলীর স্ত্রী। গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার খঞ্জনমারা গ্রামে এ অমানবিক ঘটনা ঘটে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
স্থানীয় লোকজনসহ স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গত তিনদিন ধরে ঐ গৃহবধূ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন । কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ৭২ ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
পরিবার ও এলাকাবাসীর কয়েকজন জানান, সোনাভরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান আলী দীর্ঘদিন যাবত পাশের বাড়ির এক নারীর সাথে পরকীয়া করে আসছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই তাদের ঝগড়া বিবাদ চলতো, এমন কি কোন কোন সময় তা অমানুষিক শারীরিক নিযার্তনের পর্যায় যেতো। প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান আলীর এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা নিয়ে একাধীক বার পারিবারিকভাবে সালিশী বৈঠকও হয়।
ঘটনার দিন (১০ ফ্রেরুয়ারি) সোমবার রাতে প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান আলী তার স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে বেদম প্রহার করে। এক পর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীর প্রতি অভিমান করে রাত সাড়ে ১১ দিকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই গৃহবধু। পরে স্বজনারা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান আলীর সাথে এলাকার একাধিক নারীর পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। একজন প্রধান শিক্ষকের চরিত্র যদি এই হয়, তাহলে ওই বিদ্যালয়ে আমাদের সন্তানদের কিভাবে পড়াশোনা করাবো। অবিলম্বে ওই নারী লিপ্সু প্রধান শিক্ষককে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
অভিযোগের বিষয়ে এ প্রতিবেদক জানতে প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান আলীর মুঠোফোনে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম নকিবুল হাসান দেশের বাহিরে থাকায় তার কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে রৌমারী থানার ওসি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম জানান, এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।