বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পুত্র সাম্য হত্যা মামলার রায়ে তিন জনের ফাঁসি

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০
  • ১৮৯ Time View

খোঁজ খবর রিপোর্টঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের পুত্র আশিকুর রহমান সাম্য হত্যা মামলার রায়ে ১১ জন আসামীর মধ্যে ৩ জনকে ফাঁসির আদেশ এবং বাকী ৮ জনের প্রত্যেক্যে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা আদেশ দেওয়া হযেছে। গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক বেলা সাড়ে ১১টায় এই রায় ঘোষনা করেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার বর্ধণকুঠি বটতলী এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার কবীর হৃদয়(২১), ভাগদড়িয়া এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে রফিকুল হাসান সজীব(২১) এবং নাচাই কোচাই গ্রামের আহসান হাবিব বকুলের ছেলে মাহমুদুল হাসান জাকীর প্রধান(২১)। অন্য দন্ডপ্রাপ্তরা হল পৌর কাউন্সিলর ও বর্ধণকুঠি এলাকার হামিদ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল আবেদীন(৪৫), মাগুড়া সোনারপাড়া এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা সুজন সরকার(২৮), আনারুল ইসলামের ছেলে আলামিন ইসলাম(২১), বর্ধনকুঠি বটতলী এলাকার তাজুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বেগম(৫০), বুজরুক বোয়ালীয়া প্রধান পাড়া গ্রামের আশরাফের ছেলে আল আমিন (২৮), মজিবর রহমানের ছেলে শিমুল মিয়া(৩৫), বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার দেউলী দহপাড়া গ্রামের আরেফুর রহমান শিমুল মিয়ার স্ত্রী তৌহিদা আক্তার রুনা @ লুনা(২৬), জাহাঙ্গীর আলম(৩৫)।


এই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে দন্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৭৯/১০৯/১১৪/৩৪ ধারায় ২০১৬ সালের ১১ মার্চ চার্জসীট দাখিল করা হয় গোবিন্দগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। ওই আদালতে ৪০দিন এবং গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১৭ দিনের শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ৬ জানুয়ারী উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে জেলা ও দায়রা জজ দীলিপ কুমার ভৌমিক আজ রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন।

 

 

 

 

উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের বর্ধনকুঠি বটতলা এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারের পেছনের সেপটিট্যাংক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কিশোর আশিকুর রহমান সাম্য (১৪) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় সাম্য’র বাবা পৌর মেয়র ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় পৌর কমিশনার জয়নাল আবেদীন সহ ১১জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নিহত সাম্যর বাবা পৌর মেয়র আতাউর রহমান সরকার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সাম্য হত্যার মুল পরিকল্পনাকারি পৌর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাই আমি জয়নাল আবেদীনসহ বাকী আসামীদেরও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি নাই। রায়ের কপি পাওয়ার পর অন্যান্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করা হবে।
আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. মিজানুর রহমান রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। তাই আমরা রায়ের কপি পাওয়ার পর মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পুত্র সাম্য হত্যা মামলার রায়ে তিন জনের ফাঁসি

Update Time : ১১:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০

খোঁজ খবর রিপোর্টঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের পুত্র আশিকুর রহমান সাম্য হত্যা মামলার রায়ে ১১ জন আসামীর মধ্যে ৩ জনকে ফাঁসির আদেশ এবং বাকী ৮ জনের প্রত্যেক্যে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা আদেশ দেওয়া হযেছে। গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক বেলা সাড়ে ১১টায় এই রায় ঘোষনা করেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার বর্ধণকুঠি বটতলী এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার কবীর হৃদয়(২১), ভাগদড়িয়া এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে রফিকুল হাসান সজীব(২১) এবং নাচাই কোচাই গ্রামের আহসান হাবিব বকুলের ছেলে মাহমুদুল হাসান জাকীর প্রধান(২১)। অন্য দন্ডপ্রাপ্তরা হল পৌর কাউন্সিলর ও বর্ধণকুঠি এলাকার হামিদ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল আবেদীন(৪৫), মাগুড়া সোনারপাড়া এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা সুজন সরকার(২৮), আনারুল ইসলামের ছেলে আলামিন ইসলাম(২১), বর্ধনকুঠি বটতলী এলাকার তাজুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বেগম(৫০), বুজরুক বোয়ালীয়া প্রধান পাড়া গ্রামের আশরাফের ছেলে আল আমিন (২৮), মজিবর রহমানের ছেলে শিমুল মিয়া(৩৫), বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার দেউলী দহপাড়া গ্রামের আরেফুর রহমান শিমুল মিয়ার স্ত্রী তৌহিদা আক্তার রুনা @ লুনা(২৬), জাহাঙ্গীর আলম(৩৫)।


এই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে দন্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৭৯/১০৯/১১৪/৩৪ ধারায় ২০১৬ সালের ১১ মার্চ চার্জসীট দাখিল করা হয় গোবিন্দগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। ওই আদালতে ৪০দিন এবং গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১৭ দিনের শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ৬ জানুয়ারী উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে জেলা ও দায়রা জজ দীলিপ কুমার ভৌমিক আজ রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন।

 

 

 

 

উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের বর্ধনকুঠি বটতলা এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারের পেছনের সেপটিট্যাংক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কিশোর আশিকুর রহমান সাম্য (১৪) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় সাম্য’র বাবা পৌর মেয়র ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় পৌর কমিশনার জয়নাল আবেদীন সহ ১১জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নিহত সাম্যর বাবা পৌর মেয়র আতাউর রহমান সরকার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সাম্য হত্যার মুল পরিকল্পনাকারি পৌর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাই আমি জয়নাল আবেদীনসহ বাকী আসামীদেরও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি নাই। রায়ের কপি পাওয়ার পর অন্যান্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করা হবে।
আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. মিজানুর রহমান রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। তাই আমরা রায়ের কপি পাওয়ার পর মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করবো।