শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারের শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের জমিতে গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:০১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯
  • ২০২ Time View

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সিলেট-আখাউড়া সেকশনের শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় লাল গুদাম দীর্ঘ দশ বছর ধরে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন অবৈধ পোল্ট্রি খামার ব্যবসায়ী। গুদামের গাঁ ঘেষেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা রেলস্টেশনের জমিতে গড়ে তুলেছেন স্থায়ী পাকা দেয়ালের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারিকে ম্যানেজ করে এসব জমি ও পরিত্যক্ত গুদাম বেদখল হলেও দেখার কেউ নেই।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ পার্শ্বে পরিত্যক্ত লাল গুদাম দীর্ঘ দশ বছর ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পোল্ট্রি খামার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। রেলওয়ের পরিত্যক্ত গুদামে দিনের পর দিন পোল্ট্রি খামার ব্যবসা চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ রয়েছে নির্বিকার। পোল্ট্রি খামারে মোরগের বিষ্টায় দুর্গন্ধে আশপাশ এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। স্টেশনের এই গুদামে রেলপথের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সহ অন্যান্য ষড়ঞ্জামাদি রাখা হতো। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনরূপ অনুমতি ছাড়াই এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তি মালিকানায় পোল্ট্রি খামার ব্যবসায়ী এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন। খামারের পার্শ্ববর্তী রেলস্টেশনের ভূমিতে আরও এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য গড়ে তোলছেন বেশ কয়েকটি পাকা দোকানঘর। স্টেশনের আশপাশ জুড়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা কর্তৃপক্ষের কোনরূপ অনুমতি ছাড়াই এভাবে একের পর এক প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে রেল স্টেশনের প্রয়োজনীয় জমি ও পূর্বের নির্মিত প্রতিষ্ঠান সমুহ বেদখল হওয়ায় এবং এলোপাতাড়ি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে স্টেশন এলাকায় বিশৃঙ্খলা, নোংরা পরিবেশ দেখা দিয়েছে।

তবে অভিযোগ বিষয়ে পোল্ট্রি খামারি নূরুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ের ঢাকা অফিস থেকে লিজ নিয়ে দশ বছর ধরে লাল গুদামে পোল্ট্রি খামার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। রেলওয়ের কোন সেকশন থেকে লিজ গ্রহন করেছেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি এবং এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে খাদ্য গোদামের পাশে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনকারী হাজী সাহেদ আহমদ বলেন, জনৈক মনোয়ার হোসেন এর লিজকৃত ভূমিতে আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছি। অবৈধ কোন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়নি।

শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ লাল গোদামে পোল্ট্রি খামার স্থাপন ও রেলস্টেশনের ভূমিতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার জানামতে কোন অনুমতি বা লিজ না নিয়েই স্থানীয় একটি মহল এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা মো. অহিদুন নবী বলেন, সম্প্রতি আমি দায়িত্ব নিয়েছি। বর্তমানে রেলওয়ের কোন জমি বন্দোবস্ত দেয়া হচ্ছে না। শমশেরনগর রেল স্টেশন এলাকায়ও কোন বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি। লাল গুদামে পোল্ট্রি খামার ও পার্শ্ববর্তী জমিতে প্রতিষ্ঠান স্থাপন বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

তেঁতুলিয়ায় ক্ল ুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, বীরগঞ্জ থেকে আসামি আটক

মৌলভীবাজারের শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের জমিতে গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান

Update Time : ০৭:০১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সিলেট-আখাউড়া সেকশনের শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় লাল গুদাম দীর্ঘ দশ বছর ধরে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন অবৈধ পোল্ট্রি খামার ব্যবসায়ী। গুদামের গাঁ ঘেষেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা রেলস্টেশনের জমিতে গড়ে তুলেছেন স্থায়ী পাকা দেয়ালের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারিকে ম্যানেজ করে এসব জমি ও পরিত্যক্ত গুদাম বেদখল হলেও দেখার কেউ নেই।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ পার্শ্বে পরিত্যক্ত লাল গুদাম দীর্ঘ দশ বছর ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পোল্ট্রি খামার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। রেলওয়ের পরিত্যক্ত গুদামে দিনের পর দিন পোল্ট্রি খামার ব্যবসা চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ রয়েছে নির্বিকার। পোল্ট্রি খামারে মোরগের বিষ্টায় দুর্গন্ধে আশপাশ এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। স্টেশনের এই গুদামে রেলপথের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সহ অন্যান্য ষড়ঞ্জামাদি রাখা হতো। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনরূপ অনুমতি ছাড়াই এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তি মালিকানায় পোল্ট্রি খামার ব্যবসায়ী এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন। খামারের পার্শ্ববর্তী রেলস্টেশনের ভূমিতে আরও এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য গড়ে তোলছেন বেশ কয়েকটি পাকা দোকানঘর। স্টেশনের আশপাশ জুড়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা কর্তৃপক্ষের কোনরূপ অনুমতি ছাড়াই এভাবে একের পর এক প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে রেল স্টেশনের প্রয়োজনীয় জমি ও পূর্বের নির্মিত প্রতিষ্ঠান সমুহ বেদখল হওয়ায় এবং এলোপাতাড়ি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে স্টেশন এলাকায় বিশৃঙ্খলা, নোংরা পরিবেশ দেখা দিয়েছে।

তবে অভিযোগ বিষয়ে পোল্ট্রি খামারি নূরুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ের ঢাকা অফিস থেকে লিজ নিয়ে দশ বছর ধরে লাল গুদামে পোল্ট্রি খামার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। রেলওয়ের কোন সেকশন থেকে লিজ গ্রহন করেছেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি এবং এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে খাদ্য গোদামের পাশে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনকারী হাজী সাহেদ আহমদ বলেন, জনৈক মনোয়ার হোসেন এর লিজকৃত ভূমিতে আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছি। অবৈধ কোন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়নি।

শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ লাল গোদামে পোল্ট্রি খামার স্থাপন ও রেলস্টেশনের ভূমিতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার জানামতে কোন অনুমতি বা লিজ না নিয়েই স্থানীয় একটি মহল এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা মো. অহিদুন নবী বলেন, সম্প্রতি আমি দায়িত্ব নিয়েছি। বর্তমানে রেলওয়ের কোন জমি বন্দোবস্ত দেয়া হচ্ছে না। শমশেরনগর রেল স্টেশন এলাকায়ও কোন বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি। লাল গুদামে পোল্ট্রি খামার ও পার্শ্ববর্তী জমিতে প্রতিষ্ঠান স্থাপন বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।