শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় স্বপ্ন প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৮৫ Time View

খোঁজ খবর রিপোর্টঃ অসহায় দরিদ্র নারীদের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘উৎপাদন ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন’ শীর্ষক স্বপ্ন প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা সোমবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বপ্ন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার বিভাগ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। জেলা পর্যায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে গণ উন্নয়ন কেন্দ্র।

কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব শামসুল ইসলাম, স্বপ্ন প্রকল্পের স্বপ্ন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. কাজল চ্যাটাজী, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আহমেদুল কবির আকন্দ, গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোছা. রোখছানা বেগম, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী আবু রায়হান দোলন, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সাঘাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিপ্লব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আকতার, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান আব্দুস সালাম, গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের নুসরাত জাহান, বিটিভি জেলা প্রতিনিধি আবেদুর রহমান স্বপন, বাসস জেলা প্রতিনিধি সরকার শহীদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুদ দাইয়ান, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এই স্বপ্ন প্রকল্পটি সামাজিক সুরক্ষার একটি মডেল প্রকল্প হিসেবে কাজ করবে। যাতে দরিদ্র অসহায় নারীদের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের আর্থনির্ভর করে গড়ে তোলা যায়।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকারের বিভাগ কর্তৃক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই স্বপ্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে। এ দুটি উপজেলায় মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৬১২ জন। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩৬ জন অসহায়, হতদরিদ্র, বিধবা তালাকপ্রাপ্তা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত উপকারভোগীরা ১৫ মাসের জন্য স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকার রাস্তাঘাট ও অন্যান্য সরকারি সম্পদ উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবেন। উপকারভোগী নির্বাচনের এক সপ্তাহ পূর্বে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকযোগে/ঢোল সহরতের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। নির্ধারিত তারিখে লটারির মাধ্যমে মহিলা উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সম্পন্ন হবে। নির্বাচিত উপকারভোগীদের মধ্যে ১৮ থেকে ২৮ বছরের নারীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের চাকরিতে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ২৯ থেকে ৪৫ বছরের নারীদের তাদের নিজেদের সক্ষমতার উপর লাগসই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলা হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এবং ইউএনডিপি’র আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বিভাগের সরকারি কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, দুটি উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

তেঁতুলিয়ায় ক্ল ুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, বীরগঞ্জ থেকে আসামি আটক

গাইবান্ধায় স্বপ্ন প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৭:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

খোঁজ খবর রিপোর্টঃ অসহায় দরিদ্র নারীদের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘উৎপাদন ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন’ শীর্ষক স্বপ্ন প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা সোমবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বপ্ন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার বিভাগ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। জেলা পর্যায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে গণ উন্নয়ন কেন্দ্র।

কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব শামসুল ইসলাম, স্বপ্ন প্রকল্পের স্বপ্ন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. কাজল চ্যাটাজী, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আহমেদুল কবির আকন্দ, গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোছা. রোখছানা বেগম, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী আবু রায়হান দোলন, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সাঘাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিপ্লব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আকতার, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান আব্দুস সালাম, গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের নুসরাত জাহান, বিটিভি জেলা প্রতিনিধি আবেদুর রহমান স্বপন, বাসস জেলা প্রতিনিধি সরকার শহীদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুদ দাইয়ান, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এই স্বপ্ন প্রকল্পটি সামাজিক সুরক্ষার একটি মডেল প্রকল্প হিসেবে কাজ করবে। যাতে দরিদ্র অসহায় নারীদের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের আর্থনির্ভর করে গড়ে তোলা যায়।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকারের বিভাগ কর্তৃক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই স্বপ্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে। এ দুটি উপজেলায় মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৬১২ জন। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩৬ জন অসহায়, হতদরিদ্র, বিধবা তালাকপ্রাপ্তা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত উপকারভোগীরা ১৫ মাসের জন্য স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকার রাস্তাঘাট ও অন্যান্য সরকারি সম্পদ উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবেন। উপকারভোগী নির্বাচনের এক সপ্তাহ পূর্বে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকযোগে/ঢোল সহরতের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। নির্ধারিত তারিখে লটারির মাধ্যমে মহিলা উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সম্পন্ন হবে। নির্বাচিত উপকারভোগীদের মধ্যে ১৮ থেকে ২৮ বছরের নারীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের চাকরিতে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ২৯ থেকে ৪৫ বছরের নারীদের তাদের নিজেদের সক্ষমতার উপর লাগসই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলা হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এবং ইউএনডিপি’র আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বিভাগের সরকারি কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, দুটি উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।