গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নছিমনের ধাক্কায় আহত দুইজনের মধ্যে রংপুর মেডকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় মোঃ বেলাল নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়ালো। এর আগে সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইজন এবং গতকাল রাতে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের কুমারগাড়ী এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে ইজিবাইক চালক আশরাফুল ইসলাম (৩৫), একই গ্রামর আব্দুস ছাত্তার মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (৩৮), আজিজলের ছেলে মো: বেলাল (৫০) এবং পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাবাড়ী এলাকার মৃত ভোলা মিয়ার ছেলে মো: মোত্তালিব (৫২)।এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম (৩৩) নামে একজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সন্ধ্যার পর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কুমারগাড়ি এলাকা থেকে একটি ইজিবাইকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে নাকাইহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। ইজিবাইকটি নাকাইহাট-গাইবান্ধা সড়কের বড়পুল এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা মাটির হাড়ি ভর্তি একটি ডিজেল ইঞ্জিন চালিত ভটভটি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের চালক আশরাফুল ইসলাম মারা যান। ইজিবাইকে থাকা চার যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মোত্তালেব মিয়া ও সবুজ মিয়া মারা যান এবং বিকেলে মোঃ বেলাল মিয়া মারা যান।
কুমারগাড়ী এলাকার প্রতিবেশী মোনারুল ইসলাম বলেন, আজ শুক্রবার গ্রামের মসজিদের ইফতার পার্টি ছিল। সেই ইফতার সামগ্রী কিনতে তারা একটি ইজিবাইক যোগে নাকাইহাটে বাজার করতে যান। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনই আহত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনার পর পরই দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় প্রথমে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকালে দুইজন এবং বিকেলে আরও একজন মারা যান। তিনি আরও বলেন, ডিজেল ইঞ্জিন চালিত নসিমনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।