গাইবান্ধায় রেললাইন ধরে কথা বলতে বলতে চলার সময় পেছন থেকে ‘লালমনি একপ্রেস’ ট্রেনে কাটা পড়ে উৎপল চন্দ্র (৩৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
নিহত উৎপল চন্দ্র দাস গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাবাড়ি ইউনিয়নের চিকার ভিটা নামক এলাকার কার্তিক চন্দ্র দাসের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে লালমনিহরহাট গামি ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের সুখান দীঘি নামক এলাকা অতিক্রম করছিলো। এ সময় উৎপল চন্দ্র রেললাইন ধরে হাটার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। দ্রুতগামী ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে উৎপল ট্রেনে কাটা পড়েন। এতে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে তার মৃত্যু হয়। উৎপল গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কালির বাজারে একটি সারের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম তালুকদার স্থানীয় খেত-খামারে কর্মরত প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, রেল লাইন ধরে হাটার সময় ফোনে কথা বলার কারণে ট্রেনে কাটা পড়ে উৎপল চন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এটি আত্মহত্যা নয়, এটি একটি অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনা।