শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আকাশে উড়লো সবুজ জ্বালানির যাত্রীবাহী প্রথম ফ্লাইট

আকাশে উড়ল সবুজ বা টেকসই জ্বালানি চালিত যাত্রীবাহী বিমানের ট্রান্সআটলান্টিক ফ্লাইট। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো এ ধরনের জ্বালানিতে চলা শুরু করেছে কোনো উড়োজাহাজ। খবর: বিবিসি।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভার্জিন আটলান্টিক পরিচালিত এ ফ্লাইট লন্ডনের হিথ্রো থেকে নিউইয়র্কের জেএফকে (জন এফ কেনেডি) বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড়াল দেয়। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয় সরকারি অর্থায়নে। এর লক্ষ্য সবুজ প্রযুক্তিতে উড়োজাহাজ চালানো যায় তা প্রমাণ করা। তবে সবুজ জ্বালানির পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় এখনো কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে।

তবে লক্ষ্যমাত্রাতে পৌঁছানোর জন্য আরো কিছু প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে। তথাকথিত উড়োজাহাজের টেকসই বিমান জ্বালানি (এসএএফ) বিভিন্ন উৎস থেকে তৈরি করা যেতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে শস্য দানা, গৃহস্থালির বর্জ্য এবং রান্নার তেল। প্রথম ফ্লাইটে উড়ল বোয়িং ৭৮৭ এর একটি ফ্লাইট যাতে জ্বালানি হিসেবে নেয়া হয়েছে ৫০ টন এসএএফ। যার ৮৮ শতাংশ বর্জ্য চর্বি ও বাকিট যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত ভুট্টা বর্জ্য থেকে এ জ্বালানি তৈরি হয়েছে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চলতি মাসের শুরুতে ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পায়। ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক রোলস-রয়েস এবং এনার্জি জায়ান্ট বিপি সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা এই প্রকল্পে জড়িত। ধারণা করা হয় যে এভিয়েশন শিল্পকে ডিকার্বনাইজ করা কঠিন কিন্তু এয়ারলাইন কর্মকর্তারা এসএএফ জ্বালানিকে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন।

অবশ্য এমন নয় যে এসএএফ উড়োজাহাজের থেকে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনবে। এ ধরনের জ্বালানি ‘জীবনচক্র নির্গমন’ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে। যুক্তরাজ্যে কোনো বিশেষায়িত বাণিজ্যিক এসএএফ উৎপাদক না থাকলেও সরকারের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি এসএএফ প্ল্যান্টের কাজ শুরু করা। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ ফ্লাইটে এ জ্বালানির ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Zannatul Ferdoush Jewel

Online News Portal

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

আকাশে উড়লো সবুজ জ্বালানির যাত্রীবাহী প্রথম ফ্লাইট

Update Time : ০২:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

আকাশে উড়ল সবুজ বা টেকসই জ্বালানি চালিত যাত্রীবাহী বিমানের ট্রান্সআটলান্টিক ফ্লাইট। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো এ ধরনের জ্বালানিতে চলা শুরু করেছে কোনো উড়োজাহাজ। খবর: বিবিসি।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভার্জিন আটলান্টিক পরিচালিত এ ফ্লাইট লন্ডনের হিথ্রো থেকে নিউইয়র্কের জেএফকে (জন এফ কেনেডি) বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড়াল দেয়। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয় সরকারি অর্থায়নে। এর লক্ষ্য সবুজ প্রযুক্তিতে উড়োজাহাজ চালানো যায় তা প্রমাণ করা। তবে সবুজ জ্বালানির পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় এখনো কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে।

তবে লক্ষ্যমাত্রাতে পৌঁছানোর জন্য আরো কিছু প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে। তথাকথিত উড়োজাহাজের টেকসই বিমান জ্বালানি (এসএএফ) বিভিন্ন উৎস থেকে তৈরি করা যেতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে শস্য দানা, গৃহস্থালির বর্জ্য এবং রান্নার তেল। প্রথম ফ্লাইটে উড়ল বোয়িং ৭৮৭ এর একটি ফ্লাইট যাতে জ্বালানি হিসেবে নেয়া হয়েছে ৫০ টন এসএএফ। যার ৮৮ শতাংশ বর্জ্য চর্বি ও বাকিট যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত ভুট্টা বর্জ্য থেকে এ জ্বালানি তৈরি হয়েছে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চলতি মাসের শুরুতে ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পায়। ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক রোলস-রয়েস এবং এনার্জি জায়ান্ট বিপি সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা এই প্রকল্পে জড়িত। ধারণা করা হয় যে এভিয়েশন শিল্পকে ডিকার্বনাইজ করা কঠিন কিন্তু এয়ারলাইন কর্মকর্তারা এসএএফ জ্বালানিকে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন।

অবশ্য এমন নয় যে এসএএফ উড়োজাহাজের থেকে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনবে। এ ধরনের জ্বালানি ‘জীবনচক্র নির্গমন’ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে। যুক্তরাজ্যে কোনো বিশেষায়িত বাণিজ্যিক এসএএফ উৎপাদক না থাকলেও সরকারের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি এসএএফ প্ল্যান্টের কাজ শুরু করা। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ ফ্লাইটে এ জ্বালানির ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।