
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। শুক্রবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী বালুয়া এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট চকরতি গ্রামের আব্দুল জোব্বারের ছেলে জহুরুল ইসলাম(৪০), নিজপাড়া গ্রামের মোঃ আলীর মেয়ে ঝর্ণা পারভিন(১৪) ও নাজমুল হোসেন(২৮)। এদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম বাস যাত্রী এবং ঝর্ণা পারভিন ও নাজমুল হোসেন ট্রাকের কেবিনের যাত্রি ছিলেন।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, রংপুর থেকে একটি ট্রাক গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট এসে থামে। সেখানে ট্রাকের কেবিনসহ পিছনে অন্তত ৫০ জন যাত্রী উঠানো হয়। এরপর তাদের ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। ট্রাকটি দ্রæতগতিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী বালুয়া এলাকায় পৌছিলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি দ্রæতগামী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস ও ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে বাসের যাত্রী জহুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হন।
আহত হন অন্তত ৩০ জন। স্থানীয় জনগণের সহায়তায় গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ট্রাকের কেবিন যাত্রি ঝর্ণা পারভিন ও নাজমুল হোসেন মারা যায়।
বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম আজ সকাল ৭টায় মুঠোফোনে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত তিনজনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাস ও ট্রাকটি জব্দ করে হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে হাইওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কোমরপুর এলাকায় বাসের ধাক্কায় পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে বেলাল হোসেন(২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। বেলাল হোসেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে। সকালে রংপুরগামী একটি পিকআপকে একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে পিকআপ যাত্রী বেলাল হোসেন মহাসড়কের ওপর ছিটকে পরে। ওই সময় একই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ওই যুবক নিহত হন। গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।