ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ওড়িশা রাজ্যের বালাসোরে তিনটি (দুটি যাত্রীবাহী, একটি মালবাহী) ট্রেনের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে সরকারি হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬১ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। ট্রেনের ভেতরে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে এই তিন ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। ওডিশা ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সুধাংশু সারেঙ্গি গণমাধ্যমকে বলেছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ওডিশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ভুবনেশ্বরের কর্মকর্তারা বলেন, ১ হাজার ২০০ মানুষ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি ২০০টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০টি বাস এবং ৪৫টি মোবাইল হেলথ ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। ট্রাক্টরসহ সব ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে মৃতদেহগুলো হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। লাইনচ্যুত বগিগুলোর ভেতর থেকে মৃতদেহ বের করে আনতে ‘গ্যাস কাটার’ ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে তিনটি ট্রেনের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় দুজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের মুখপাত্র রঞ্জন সেন। এ ছাড়া ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখনও কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের পরিচয় মেলেনি। সরকারিভাবেও এখনও কোনো তথ্য কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের হাতে আসেনি। রঞ্জন সেন বলেন, আহত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর রাসেলুজ্জামান ও বগুড়ার হাবিবুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, কাল রাত থেকে হটলাইন সচল রয়েছে। রাসেলের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি হটলাইনে জানিয়েছেন, রাসেল এখন ওড়িশার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাবিবুর রহমানের নাম পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস নবান্নের তালিকা থেকে।
রঞ্জন সেন বলেন, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। উপহাইকমিশনের পক্ষ থেকে এখনো আহত দুই ব্যক্তির বিষয়টি যাচাই করা যায়নি। ইতোমধ্যে উপহাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তারা গেলে বাংলাদেশি কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, সেটা বিস্তারিত জানাতে পারব।