অমানবিক ভাবে চেতনা নাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করে ৪টি গরু পাচার করার সময় একটি জ্যাম ট্রাকসহ আন্তঃজেলা চোর দলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গাইবান্ধা পুলিশ। এরমধ্যে সদ্য প্রসুত গাভী রয়েছে। কিন্তু গাভীর সঙ্গে বাছুর ছিলো না। আজ দুপুরে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন গাইবান্ধা সদর থানা চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলো আন্তঃ জেলা গরু চোর দলের সদস্য রাজশাহীর কাশিডাঙ্গা উপজেলার রাইপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে বিজয় ইসলাম @ পিচ্চি বাবু (১৯), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম সজিব (২৩), গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের খামার পীরগাছা গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল শেখ (৪০) ও আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল মজিদ (২৭)। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে সদর থানার একটি পুলিশ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাহাপাড়া ইউনিয়নের খামার পীরগাছা গ্রামের আব্দুল মান্নানের বাড়ির
সামন থেকে ৪টি গরুসহ নম্বর বিহীন একটি জ্যাম ট্রাক আটক করে। এসময় ৪ আন্তঃজেলা গরুচোর দলের সক্রিয় সদস্যদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন জেলা থেকে গরু চুরি করে হাত বদল করে হাটে বা অন্য চোর চক্রের কাছে বিক্রি করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, আটককৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হবে। চোর চক্র গরুগুলি চেতনা নাশক ইনজেকশন দিয়ে জ্যাম ট্রাকে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে নিয়ে যাচ্ছিল। সদ্য প্রসুত দুইটি গাভীর বাঁছুর সঙ্গে না থাকায় গাভীর ওলান(দুগ্ধস্তন) ফুলে যাওয়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে চিকিৎসক নিয়ে এসে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গরুর মালিকদের খুজে বের করে তাদের কাছে ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।