
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন-বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ১৪ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। জাহাজটির ক্ষতিপূরণ বাবদ ২২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করা হলে বিমা প্রিমিয়াম বাবদ বিএসসিকে ১৪ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করে সাধারণ বিমা করপোরেশন। ক্ষতিপূরণের টাকা গত ২১ মার্চ বিএসসির ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাংলার সমৃদ্ধির নাবিকদের পরিবারগুলোর মাঝে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর মাধ্যমে সাড়ে সাত কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের চেক আদায় ও বিতরণ করা হয়েছিল। এবার জাহাজের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৪ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আদায় করে বিএসসিকে চেক বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।’
‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে প্রবেশ করে বন্দরের ইনার অ্যাংকরেজে অবস্থানের ৬ দিনের মাথায় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের প্রভাবে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হওয়া, পাইলট না পাওয়া এবং বন্দরের প্রবেশমুখে মাইন স্থাপন ইত্যাদি কারণে অলভিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় জাহাজটি অলভিয়া বন্দরের ইনার অ্যাংকরেজ থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি।
যুদ্ধের ৩য় দিন ইউক্রেন স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় একটি ক্ষেপণাস্ত্র বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে আঘাত হানে। এতে জাহাজের ৩য় প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন এবং জাহাজের ব্রিজরুমসহ সব নেভিগেশন টুলস্ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় গত বছরের ৯ মার্চ জাহাজে থাকা নাবিকদের এবং গত বছরের ১৪ মার্চ নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে আনা হয়।