
চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের নিজ গাছতলা এলাকায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। এসব মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই শাহজাহান ও সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিহত কালু বেপারীর ভাতিজা সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে আনন্দ পরিবহনের বাসটি চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে রায়পুরের উদ্দেশ্যে এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা রায়পুর থেকে চাঁদপুরে প্রবেশ করার সময় সংঘর্ষ হয়। বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই রুবেল হোসেন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হন। ওই ঘটনায় শিশুসহ আরো ৬ অটোরিকশার যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে মামুন হোসেন (৩০) নামে একজন শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর রাতে অটোরিকশাচালক আলাউদ্দিনকে (৩৫) চাঁদপুর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মৃত্যু হয় এবং আজ শনিবার সকাল ৮টায় অপর যাত্রী কালু বেপারী (৭০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এছাড়াও একই ঘটনায় লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার চরকাজিয়া গ্রামের মীর মাঝির ছেলে আবদুল মাজেদ মাঝি (৬০), তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৫০) ও তাদের সঙ্গে থাকা ৪ বছর বয়সী শিশু চিকিৎসাধীন।
বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষের সময় স্থানীয় লোকজন বাসটাকে আটক করে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ জনতা বাসের সামনের গ্লাস ভাঙচুর করেন। বর্তমানে বাস ও সিএনজি চাঁদপুর সদর মডেল থানা হেফাজতে আছে।