শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় ভারত-বাংলা চিত্রকর্ম অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা

গাইবান্ধায় ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারে পাঁচদিন ব্যাপী ভারত-বাংলা চিত্রকর্ম অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ঢাকাস্থ প্রিমা আর্টে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ক্রান্তি নামে এই কর্মশালা আয়োজন করেছে। ভারতের কেরালা প্রদেশের কেরালা ললিত কলা একাডেমী ও কে.কে. ইয়াল্লাম ফাউন্ডেশন এর সহযোগ। এই কর্মশালার সহযোগিতা করছে ফ্রেন্ডশিপ কালচারাল প্রিজারভেশন ও ফ্রেন্ডশিপ কালারস অফ দা চরস। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ থেকে ১০ জন ও ভারতের কেরালা থেকে ১০ জন সমসাময়িক দৃশ্যশিল্পী।

প্রিমা আর্টে ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে শিল্প এবং শিল্পীদের মাধ্যমে সংস্কৃতির আদান-প্রদান এবং শৈল্পিক চর্চার সেতুবন্ধন রচনা। বাংলাদেশের শিল্পকলার জোরালো প্রসঙ্গ এবং শিল্পীদের একত্রিকরণের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে তার সকীয় গতিধারায় অনুশীলিত, প্রবাহিত এবং প্রকাশ করায় সচেষ্ট এই ফাউন্ডেশন। এর মাধ্যমে শিল্পীকে মুক্ত করবার সৃজনশীল যে প্রক্রিয়া তাকে সুচারুভাবে বলিষ্ঠ গাঁথুনিতে হৃদয়ের সাথে মননের যোগসূত্র রচনায় প্রয়াাসী এই কর্মসূচি।

ফ্রেন্ডশিপের পরিচালক নাজরা মাহজাবীন সাবেত বলেন, ফ্রেন্ডশিপ তার জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ফ্রেন্ডশিপ নদীমাতৃক বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কাঠের তৈরি নৌকার প্রতিরূপ তৈরি করছে। এই কাজের সাথে জড়িত শিল্পীরা কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে তাই তাদের বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি কাঠের নৌকা বানানোর কৌশল নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ফ্রেন্ডশিপ শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে, তাই শিল্পের মাধ্যমে চরের মানুষের জীবনযাত্রা ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করে শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার সূত্রপাত করার জন্য তারা ক্রান্তির সহযোগি।

ভারতের কেরালা ললিতকলা একাডেমির সভাপতি ইবিএন. জোসেফ বলেন, এই অনুপ্রেরণা এবং বিনিময়ে শিল্পের যে নতুন ধারা তৈরি হলো তা দুই দেশের শিল্পকে আরো সদৃঢ় করবে।
এই শৈল্পিক উদ্যোগের সার্বিক সহযোগিতা করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। স্বপ্ন এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক।

এর আগে শিল্পীরা ঢাকাস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চারুকলা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার বিভিন্ন গ্যালারি পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া শিল্পীরা গাইবান্ধা সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ঘুরে দেখেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Zannatul Ferdoush Jewel

Online News Portal
Popular Post

তেঁতুলিয়ায় ক্ল ুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, বীরগঞ্জ থেকে আসামি আটক

গাইবান্ধায় ভারত-বাংলা চিত্রকর্ম অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা

Update Time : ১১:৪২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

গাইবান্ধায় ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারে পাঁচদিন ব্যাপী ভারত-বাংলা চিত্রকর্ম অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ঢাকাস্থ প্রিমা আর্টে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ক্রান্তি নামে এই কর্মশালা আয়োজন করেছে। ভারতের কেরালা প্রদেশের কেরালা ললিত কলা একাডেমী ও কে.কে. ইয়াল্লাম ফাউন্ডেশন এর সহযোগ। এই কর্মশালার সহযোগিতা করছে ফ্রেন্ডশিপ কালচারাল প্রিজারভেশন ও ফ্রেন্ডশিপ কালারস অফ দা চরস। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ থেকে ১০ জন ও ভারতের কেরালা থেকে ১০ জন সমসাময়িক দৃশ্যশিল্পী।

প্রিমা আর্টে ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে শিল্প এবং শিল্পীদের মাধ্যমে সংস্কৃতির আদান-প্রদান এবং শৈল্পিক চর্চার সেতুবন্ধন রচনা। বাংলাদেশের শিল্পকলার জোরালো প্রসঙ্গ এবং শিল্পীদের একত্রিকরণের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে তার সকীয় গতিধারায় অনুশীলিত, প্রবাহিত এবং প্রকাশ করায় সচেষ্ট এই ফাউন্ডেশন। এর মাধ্যমে শিল্পীকে মুক্ত করবার সৃজনশীল যে প্রক্রিয়া তাকে সুচারুভাবে বলিষ্ঠ গাঁথুনিতে হৃদয়ের সাথে মননের যোগসূত্র রচনায় প্রয়াাসী এই কর্মসূচি।

ফ্রেন্ডশিপের পরিচালক নাজরা মাহজাবীন সাবেত বলেন, ফ্রেন্ডশিপ তার জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ফ্রেন্ডশিপ নদীমাতৃক বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কাঠের তৈরি নৌকার প্রতিরূপ তৈরি করছে। এই কাজের সাথে জড়িত শিল্পীরা কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে তাই তাদের বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি কাঠের নৌকা বানানোর কৌশল নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ফ্রেন্ডশিপ শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে, তাই শিল্পের মাধ্যমে চরের মানুষের জীবনযাত্রা ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করে শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার সূত্রপাত করার জন্য তারা ক্রান্তির সহযোগি।

ভারতের কেরালা ললিতকলা একাডেমির সভাপতি ইবিএন. জোসেফ বলেন, এই অনুপ্রেরণা এবং বিনিময়ে শিল্পের যে নতুন ধারা তৈরি হলো তা দুই দেশের শিল্পকে আরো সদৃঢ় করবে।
এই শৈল্পিক উদ্যোগের সার্বিক সহযোগিতা করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। স্বপ্ন এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক।

এর আগে শিল্পীরা ঢাকাস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চারুকলা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার বিভিন্ন গ্যালারি পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া শিল্পীরা গাইবান্ধা সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ঘুরে দেখেন।