
স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের পর ধর্ষনের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গাইবান্ধায় মেহেদী হাসান(২২) নামে এক যুবকের পৃথক দুটি মামলায় ৪৬ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত মেহেদী হাসান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বড়দহ গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামী মেহেদী হাসান আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আজ দুপুরে গাইবান্ধার নারী শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান এই রায় ঘোষনা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ৯ম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল পলাশবাড়ি উপজেলার খামার জামিরা গ্রামে তার খালা জীবন নাহারের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে ওই এলাকার বখাটে মেহেদী হাসান ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেল যোগে এসে সাথে থাকা তার খালাকে কিলঘুষি মেরে ভুক্তভোগি স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে অঞ্জাত স্থানে রেখে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল পলাশবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত থেকে জামিন নিয়ে মেহেদী হাসান পালিয়ে যায়।
এই মামলার পিপি একে এম মহিবুল ইসলাম মোহন জানান, দীর্ঘদিন সাক্ষ্য প্রমান শেষে ধর্ষনের অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ৩২ বছর এবং অপহরনের অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় ১৪ বছরসহ মোট ৪৬ বছর কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।