শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড, হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:০৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ২৯৭ Time View

গাইবান্ধায় মাদক ট্রাজেডিতে বিষাক্ত মদ্যপানে সুইপারসহ ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মাদক বিক্রেতা রবিন্দ্র নাথ সরকার ওরফে রবির মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আবুল মনসুর মিঞা পলাতক আসামীর অনুপস্থিতিতে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন। অপরদিকে গোবিন্দগঞ্জের বাগদা ফার্ম এলাকার এক সাঁওতালকে হত্যার অভিযোগে একজনের জাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন একই আদালতের বিচারক। মামলার পিপি এ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ প্রিন্স বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের বাংলা নববর্ষের আগের রাতে মদ্যপানে গাইবান্ধায় আমোদ ফুর্তিতে মেতে ওঠেন অনেকেই। তারা সকলেই বরিন্দ্রনাথ সরকারের ষ্টেশন রোডস্থ ন্যাশনাল হোমিও হল থেকে মিথানল মিশ্রিত রেকটি ফাইট স্প্রীট কিনে নিয়ে সেবন করেন। অতিরিক্ত লাভের আশায় রবিন্দ্র নাথ সরকার দোকানে এবং বাড়িতে মজুত রেকটি ফাইট স্প্রীটে বিষাক্ত মিথানল মিশ্রিত করে বিক্রি করেন।
এই বিষাক্ত মিথানল মিশ্রিত রেকটি ফাইট স্প্রীট খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ্যদের গাইবান্ধা জেলারেল হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ অবস্থায় সুইপার কাবলু, ডাবলু, সুমিতারানী, ললিত রানী, কান্তি ও মিলনসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গাইবান্ধা ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও গোপনে আরও অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিষাক্ত মদ্যপানে অনেকেই অন্ধত্ব বরণ করে।
এব্যাপারে সুইপার সর্দ্দার মুন্নী বাঁশফোর বাদী হয়ে ১৯৯৮ সালের ১৬ এপ্রিল গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই মাদক ব্যবসায়ী রবিন্দ্র নাথ স্ত্রী-সন্তানসহ ভারতে পালিয়ে যায়। সিআইডির গাইবান্ধার পরিদর্শক আবেদ আলী তদন্ত শেষে রবিন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালতে সাক্ষ্য প্রমান শেষে আজ গাইবান্ধায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এই মামলার রায় ঘোষনা করেন।
একই সাথে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাগদা ফার্ম এলাকার তালা মারডি নামে একজনের যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছে জেলা দায়রা জজ আদালত। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তালা মাডির ছোড়া তীরে ১৯৯৪ সালে মঙ্গল মার্টি নামে আরেক সাঁওতাল নিহত হয়। দীর্ঘ ২৮ বছর শুনানি শেষে বিচারক এ রায় দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Zannatul Ferdoush Jewel

Online News Portal
Popular Post

তেঁতুলিয়ায় ক্ল ুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, বীরগঞ্জ থেকে আসামি আটক

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড, হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

Update Time : ০১:০৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

গাইবান্ধায় মাদক ট্রাজেডিতে বিষাক্ত মদ্যপানে সুইপারসহ ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মাদক বিক্রেতা রবিন্দ্র নাথ সরকার ওরফে রবির মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আবুল মনসুর মিঞা পলাতক আসামীর অনুপস্থিতিতে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন। অপরদিকে গোবিন্দগঞ্জের বাগদা ফার্ম এলাকার এক সাঁওতালকে হত্যার অভিযোগে একজনের জাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন একই আদালতের বিচারক। মামলার পিপি এ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ প্রিন্স বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের বাংলা নববর্ষের আগের রাতে মদ্যপানে গাইবান্ধায় আমোদ ফুর্তিতে মেতে ওঠেন অনেকেই। তারা সকলেই বরিন্দ্রনাথ সরকারের ষ্টেশন রোডস্থ ন্যাশনাল হোমিও হল থেকে মিথানল মিশ্রিত রেকটি ফাইট স্প্রীট কিনে নিয়ে সেবন করেন। অতিরিক্ত লাভের আশায় রবিন্দ্র নাথ সরকার দোকানে এবং বাড়িতে মজুত রেকটি ফাইট স্প্রীটে বিষাক্ত মিথানল মিশ্রিত করে বিক্রি করেন।
এই বিষাক্ত মিথানল মিশ্রিত রেকটি ফাইট স্প্রীট খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ্যদের গাইবান্ধা জেলারেল হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ অবস্থায় সুইপার কাবলু, ডাবলু, সুমিতারানী, ললিত রানী, কান্তি ও মিলনসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গাইবান্ধা ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও গোপনে আরও অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিষাক্ত মদ্যপানে অনেকেই অন্ধত্ব বরণ করে।
এব্যাপারে সুইপার সর্দ্দার মুন্নী বাঁশফোর বাদী হয়ে ১৯৯৮ সালের ১৬ এপ্রিল গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই মাদক ব্যবসায়ী রবিন্দ্র নাথ স্ত্রী-সন্তানসহ ভারতে পালিয়ে যায়। সিআইডির গাইবান্ধার পরিদর্শক আবেদ আলী তদন্ত শেষে রবিন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালতে সাক্ষ্য প্রমান শেষে আজ গাইবান্ধায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এই মামলার রায় ঘোষনা করেন।
একই সাথে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাগদা ফার্ম এলাকার তালা মারডি নামে একজনের যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছে জেলা দায়রা জজ আদালত। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তালা মাডির ছোড়া তীরে ১৯৯৪ সালে মঙ্গল মার্টি নামে আরেক সাঁওতাল নিহত হয়। দীর্ঘ ২৮ বছর শুনানি শেষে বিচারক এ রায় দেন।