
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক, অস্ত্র ও অপরাধ বেড়েছে। পুরো ক্যাম্প যেন মাদকের হাটে পরিনত হয়েছে। এই মাদক বিক্রির টাকার ভাগাভাগি নিয়ে চলে খুনোখুনি, মারামারি ও আধিপত্য বিস্তার। রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা মিলে রোহিঙ্গা শিবিরকে মাদকের হাট বানিয়ে তুলেছেন বলে দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে কাজ করা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দাবী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৬ মাসে অন্তত ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা ও আইস আটক করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। সর্বশেষ গত ৭ নভেম্বর রোহিঙ্গা দম্পতি সওকত ইসলাম ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম কে মাদক বিক্রির ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা ও ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ চট্টগ্রাম চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব ৭। অন্যদিকে কক্সবাজার র্যাব ১৫ অভিযান চালিয়ে গত ৪ নভেম্বর উখিয়ার বালু খালী পান বাজার এলাকা থেকে মরজিন নামের এক রোহিঙ্গা নারীর দেহ তল্লাসী করে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এর আগে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি উখিয়ার রহমতের বিল ও রাজাপালং আমতলী ও রেজু আমতলীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তিন রোহিঙ্গা সহসহ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছেন।
গত ১৫ জুলাই টেকনাফ নয়াপাড়া ক্যাম্পে বসতঘরে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা নগদ ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই-ব্লকের সুলতানের ঘরে অস্ত্র ও মাদকের চালান মজুতের খবরে অভিযানে যায় এপিবিএনের একটি দল। বাড়ি ঘিরে ফেললে পালিয়ে যায় একজন।
পরে ক্যাম্পের বাসিন্দা সুলতানের বসতঘরে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় নুর বারেক নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মেঝে খুঁড়ে পাওয়া যায় একটি প্লাস্টিকের বালতি। মুখ খুলতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক টাকার বান্ডিল।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে মাদক, অস্ত্র ও অপরাধমুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিঃ ডিআইজি সৈয়দ হারুনর রশীদ। এ ছাড়া, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, কোষ্টগার্ড ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গত মাসে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি ইয়াবাসহ ১৩৫ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে সারা দেশে। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।