সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গোপনে বিয়ে, শিক্ষককে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭৮ Time View

ফেনীর সোনাগাজীতে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গোপনে বিয়ে করায় শিক্ষককে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সোনাগাজীর আল হেলাল একাডেমির পরিচালনা পর্ষদ। অভিযুক্ত শেখ ফরিদ রনি ওই বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ বৈঠক করে তাকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে।

জানা গেছে, প্রায় সাত-আট মাস আগে স্থানীয় ছাত্রশিবির নেতা শেখ ফরিদ রনি আল হেলাল একাডেমিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি তারাই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। বিষয়টি বিদ্যালয়ে জানাজানি হলে ছাত্রীর পরিবার মানসম্মান হারানোর ভয়ে শিক্ষকের সঙ্গে গোপনে বিয়ে দিতে সম্মত হয়। একপর্যায়ে তাদের বিয়ে হয়। ছাত্রীর বয়স কম হওয়াতে তার পরিবার বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হন।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালও হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ছাত্রীর পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষককে তলব করে। বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সম্মত হয় পরিচালনা পর্ষদ। আল হেলাল একাডেমির প্রধান শিক্ষক উপজেলা জামায়াত নেতা ওমর ফারুক বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সামছুল হকের নির্দেশক্রমে তাকে শ্রেণি কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ছাত্রীকে বিয়ে করা শিক্ষক শেখ ফরিদ রনি বলেন, পারিবারিকভাবে আকদ হয়েছে তবে বিয়ে হয়নি। অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য আকদ করা যায় কিনা, এ প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে মনোমালিন্য থাকায় তারা বিষয়টি বাজেভাবে উপস্থাপন করে চারদিকে ছড়িয়েছে। তাছাড়া রাজনৈতিক কারণেও আমাকে ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়েছে। বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে কথা হয় ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে। তবে তিনি সাংবাদিকের পরিচয় জেনে বাহিরে রয়েছি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Zannatul Ferdoush Jewel

Online News Portal
Popular Post

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গোপনে বিয়ে, শিক্ষককে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি

Update Time : ০৫:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফেনীর সোনাগাজীতে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গোপনে বিয়ে করায় শিক্ষককে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সোনাগাজীর আল হেলাল একাডেমির পরিচালনা পর্ষদ। অভিযুক্ত শেখ ফরিদ রনি ওই বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ বৈঠক করে তাকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে।

জানা গেছে, প্রায় সাত-আট মাস আগে স্থানীয় ছাত্রশিবির নেতা শেখ ফরিদ রনি আল হেলাল একাডেমিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি তারাই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। বিষয়টি বিদ্যালয়ে জানাজানি হলে ছাত্রীর পরিবার মানসম্মান হারানোর ভয়ে শিক্ষকের সঙ্গে গোপনে বিয়ে দিতে সম্মত হয়। একপর্যায়ে তাদের বিয়ে হয়। ছাত্রীর বয়স কম হওয়াতে তার পরিবার বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হন।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালও হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ছাত্রীর পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষককে তলব করে। বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সম্মত হয় পরিচালনা পর্ষদ। আল হেলাল একাডেমির প্রধান শিক্ষক উপজেলা জামায়াত নেতা ওমর ফারুক বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সামছুল হকের নির্দেশক্রমে তাকে শ্রেণি কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ছাত্রীকে বিয়ে করা শিক্ষক শেখ ফরিদ রনি বলেন, পারিবারিকভাবে আকদ হয়েছে তবে বিয়ে হয়নি। অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য আকদ করা যায় কিনা, এ প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে মনোমালিন্য থাকায় তারা বিষয়টি বাজেভাবে উপস্থাপন করে চারদিকে ছড়িয়েছে। তাছাড়া রাজনৈতিক কারণেও আমাকে ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়েছে। বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে কথা হয় ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে। তবে তিনি সাংবাদিকের পরিচয় জেনে বাহিরে রয়েছি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।