শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেমি ওপরে প্রবাহিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:১৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭৭ Time View

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে লালমনিরহাটে তিস্তার নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে একদিনেই বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে এ পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। রাত থেকেই তিস্তার পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেতে থাকলেও বিকেল তিনটায় বিপৎসীমার ১০ সে.মি. ওপরে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে আগামী ২৪ ঘন্টায় ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গতকাল বুধবার বিপৎসীমার ৪০ সে.মি. নিচে পানি প্রবাহিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে বিপৎসীমার ৩৩ সে.মিটারের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকেলের দিকে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিকেল তিনটায় ১০ সে. মি. ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির কারনে নদী পারের মানুষগুলো বন্যা মোকাবেলায় নিজেদের সবটুকু গুছিয়ে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নদী পাড়ের লোকজন। এই বছরে পঞ্চম দফা বন্যায় জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী,দোয়ানী,ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি,আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,কালমাটি,পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ,কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি,রাজপুর,গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়াও ভাটি এলাকায় রাত নাগাদ পানির প্রবাহ চলে আসবে। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে তাদের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ২৪ ঘন্টায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করা এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পানি আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Zannatul Ferdoush Jewel

Online News Portal

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেমি ওপরে প্রবাহিত

Update Time : ১০:১৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে লালমনিরহাটে তিস্তার নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে একদিনেই বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে এ পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। রাত থেকেই তিস্তার পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেতে থাকলেও বিকেল তিনটায় বিপৎসীমার ১০ সে.মি. ওপরে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে আগামী ২৪ ঘন্টায় ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গতকাল বুধবার বিপৎসীমার ৪০ সে.মি. নিচে পানি প্রবাহিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে বিপৎসীমার ৩৩ সে.মিটারের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকেলের দিকে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিকেল তিনটায় ১০ সে. মি. ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির কারনে নদী পারের মানুষগুলো বন্যা মোকাবেলায় নিজেদের সবটুকু গুছিয়ে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নদী পাড়ের লোকজন। এই বছরে পঞ্চম দফা বন্যায় জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী,দোয়ানী,ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি,আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,কালমাটি,পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ,কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি,রাজপুর,গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়াও ভাটি এলাকায় রাত নাগাদ পানির প্রবাহ চলে আসবে। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে তাদের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ২৪ ঘন্টায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করা এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পানি আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।