
স্টাফ রিপোর্টারঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের
মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৫০টি পরিবারকে জমি ও ঘরের কবুলিয়ত, নামজারীর কাগজ সহ জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়। সে সাথে ৭ উপজেলায় মোট এক হাজার ৫৯৭ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়। জমিসহ প্রতিটি ঘরের মালিকানা স্বামী স্ত্রীর ৫০ ভাগ করে একজন উপকারভোগী পূর্ণ
ঘরের মালিকানা লাভ করবেন।
এ উপলক্ষে গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে আজ সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপকারভোগীদের মাঝে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচারে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বক্তব্যরেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি মানুষ যেন সুন্দরভাবে বেঁচে থাকে, প্রতিটি মানুষকে যেন সুন্দর সমাজ গড়ে তুলে দিতে পারি। সেজন্য
সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে তাদেরকে জমিসহ সেমিপাকা ঘর বিতরণ করা হবে। সেই সাথে তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও পানি সাশ্রয় করতে হবে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: অলিউর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন
স¤পাদক আবু বকর সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক শাহজাদা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, সাধারন স¤পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আলমগীর হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেবুন নাহার,
সহকারী কমিশনার ভূমি রেজাউল ইসলাম, এনডিসি হৃদয় আহমেদ জুয়েল, প্রকল্প
বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান, সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ নাসির উদ্দিন সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ উপকারভোগীরা। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে সমাজের গৃহহীন ও ভূমিহীন ২৬ হাজার ২শ ২৯জন মানুষকে
সেমিপাকা পাকা ঘর বিতরন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৫০টিসহ জেলার ৭টি উপজেলায় মোট এক হাজার ৫৯৭টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাকা ঘর পান। এছাড়াও সদর উপজেলায় ২৫৪টি পরিবার, সাঘাটায় ১৭০টি, ফুলছড়িতে ৩১৮টি, সাদুল্যাপুরে ৭০টি,
সুন্দরগঞ্জে ৫১০টি, পলাশবাড়ীতে ১৪০টি ও গোবিন্দগঞ্জে ১৩৫টি পরিবারকে জমি ও ঘরের কবুলিয়ত, নামজারীর কাগজ হস্তান্তর করা হয়।