
স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার রহমান শিহাবকে(১৫) হত্যার অভিযোগে তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এসপি মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য শান্তিরাম গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে সুমন(১৫), শান্তিরাম গ্রামের মঞ্জু মিয়ার ছেলে জিন্না মিয়া(১৬) ও একই গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে বাদশা মিয়া (১৪)। তারা তিনজন স্থানীয় বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম েেশ্রণির ছাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পঞ্চাশ লাখ টাকা মুক্তিপণের আশায় ঈদের দুই সপ্তাহ আগে সুমন, জিন্না ও বাদশা তিন বন্ধু পূর্ব বেলকা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে। বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার রহমান শিহাবকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন। সে মোতাবেক গত ১৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে শিহাবকে বাড়ি থেকে ডেকে বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে নিয়ে যায় তিন বন্ধু। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি মোটরসাইকেলে জিন্না ও সুমন নিহত শিহাবকে ফুসলিয়ে সিচা বাজারে নিয়ে যায়। পরে সেখানে বাদশাও একত্রিত হয়।
এরপর তিনবন্ধু মিলে জুসের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে শিহাবকে জোরপূর্বক পান করায়। বাধা দেয়ায় শিহাবের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে সুমন। এরপর শিহাব সেখানে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে সেখান থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে তিন বন্ধুসহ শিহাবকে তুলে নিয়ে যায় ধুবনি গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে। সেখানে বাড়ির মালিক বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপর শিহাবকে মোটরসাইকেলে করে নেয়া হয় তিস্তা নদীর লাল চামার খেয়াঘাটে। সেখানে গিয়ে মুক্তিপণের বদলে শিহাবকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। সে মোতাবেক নদীর পাড়ে নিয়ে শিহাবকে বস্তাবন্দি করে তিনবন্ধু পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। এরপর লাশ নদীতে ফেলে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায় তারা। ঘটনার পরদিন গত ১৫ জুলাই নিহত শিহাবের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ১৬ জুলাই অজ্ঞাত আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা আতাউর রহমান।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এটা একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকা-। হত্যায় সাথে সরাসরি জড়িত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।’