বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যমুনা গর্ভে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • ১৪২ Time View

ফুলছড়ি প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় কাউয়াবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি দ্বিতল ভবন যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। শুক্রবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার ফজলুপুর চরে এ ঘটনা ঘটে।  শনিবার (২ জুলাই) রাতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য আমিনুর রহমান জানান, আজ শনিবার বিকেলে ভবনটি দেখতে গিয়ে ভাঙনের ছবি ও ভিডিও করি। চোখের সামনে ভবনটি নদী গর্ভে চলে গেল।

তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে ৩০ শতাংশ জমিই চলে গেছে নদীর বুকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে পাঠদানের কোনো ভবন নেই। তবে পাশেই নিজের আরেকটি জমিতে বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধান শিক্ষক মাসুম মিয়া জানান, ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০০৯ সালে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ভবনটি নির্মিত হয়। এরপর থেকে এ ভবনে পাঠদান চলছিল। কয়েকদিন আগেও নদী থেকে ১৫০ মিটার দূরে ছিল ভবনটি। সম্প্রতি ভবনটি নিলামের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে শুক্রবার (১ জুলাই) হঠাৎ বিদ্যালয়ের ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, এ খবরটি শুনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অতি দ্রুত জায়গা নির্ধারণ করে নতুন করে বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Zannatul Ferdoush Jewel

Online News Portal

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

যমুনা গর্ভে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন

Update Time : ১২:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

ফুলছড়ি প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় কাউয়াবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি দ্বিতল ভবন যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। শুক্রবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার ফজলুপুর চরে এ ঘটনা ঘটে।  শনিবার (২ জুলাই) রাতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য আমিনুর রহমান জানান, আজ শনিবার বিকেলে ভবনটি দেখতে গিয়ে ভাঙনের ছবি ও ভিডিও করি। চোখের সামনে ভবনটি নদী গর্ভে চলে গেল।

তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে ৩০ শতাংশ জমিই চলে গেছে নদীর বুকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে পাঠদানের কোনো ভবন নেই। তবে পাশেই নিজের আরেকটি জমিতে বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধান শিক্ষক মাসুম মিয়া জানান, ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০০৯ সালে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ভবনটি নির্মিত হয়। এরপর থেকে এ ভবনে পাঠদান চলছিল। কয়েকদিন আগেও নদী থেকে ১৫০ মিটার দূরে ছিল ভবনটি। সম্প্রতি ভবনটি নিলামের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে শুক্রবার (১ জুলাই) হঠাৎ বিদ্যালয়ের ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, এ খবরটি শুনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অতি দ্রুত জায়গা নির্ধারণ করে নতুন করে বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে।