শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভেজাল ওষুধ বিক্রি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত-হাইকোর্ট

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৭২ Time View

খোঁজ খবর ডেস্ক : দেশের ফার্মেসি গুলোতে ভেজাল ওষুধ পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাত দিনের সাজা কম হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ভেজাল ওষুধ বিক্রি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এর আগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় আদালতে।

আদালত আরো বলেন, একবার পাওয়ার পর যদি দ্বিতীয়বার কোনো ফার্মেসিতে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়, তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করতে হবে। যেখানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয়ের বিরুদ্ধে গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন।

আদালতে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয়ের বিরুদ্ধে চলা অভিযানের সঙ্গে আমরা একমত। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ যেন বাজারে না থাকে এটা আমরাও চাই।

এরপর আদালত প্রতিটি ওষুধের স্ট্রিপে (পাতায়) বাংলায় নাম, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লেখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন। ঔষধ শিল্প সমিতির পক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ফ্যাক্টরি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন আদালতে দিব। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

ভেজাল ওষুধ বিক্রি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত-হাইকোর্ট

Update Time : ০৭:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

খোঁজ খবর ডেস্ক : দেশের ফার্মেসি গুলোতে ভেজাল ওষুধ পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাত দিনের সাজা কম হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ভেজাল ওষুধ বিক্রি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এর আগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় আদালতে।

আদালত আরো বলেন, একবার পাওয়ার পর যদি দ্বিতীয়বার কোনো ফার্মেসিতে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়, তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করতে হবে। যেখানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয়ের বিরুদ্ধে গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন।

আদালতে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয়ের বিরুদ্ধে চলা অভিযানের সঙ্গে আমরা একমত। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ যেন বাজারে না থাকে এটা আমরাও চাই।

এরপর আদালত প্রতিটি ওষুধের স্ট্রিপে (পাতায়) বাংলায় নাম, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লেখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন। ঔষধ শিল্প সমিতির পক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ফ্যাক্টরি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন আদালতে দিব। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।