রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লঞ্চ দুর্ঘটনায় যেভাবে বেঁচে গেলেন একই পরিবারের তিন জন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৫৬ Time View

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নৌ দুর্ঘটনায় থেকে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাতেমা আক্তার (২০) ও তার বোন নাসিং ডিপ্লোমা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী মুক্তা আক্তার (২১) বিপদের মধ্যেও ঝুকি নিয়ে ৩ জনকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে বাঁচিয়েছেন। তখন লঞ্চটি চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছে। বড়দিনের ছুটিতে মুক্তা আক্তার চাচাতো বোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও বোনের ছেলে শিশু সন্তান নিয়ে বরগুনা জেলার বামনা গ্রামে আসছিলেন।

পথিমধ্যে লঞ্চের আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনায় তারা মানসিক ভাবে ভীত বিহ্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু এর মধ্যে বাঁচার জন্য দৃঢ় মনোভাব নিয়ে মুক্তা আক্তার লঞ্চের পাশে চলে আসে এবং এক পর্যায়ে পানির মধ্যে অন্ধকারে পাড় আছে ভেবে এদেরকে নিয়ে ঝাপ দেয়। তার কোল থেকে শিশু রুমান পড়ে যায় এবং ঝাপ দেয়ার পড়ে সে পায়ে মাটি পায়। পরবর্তিতে সে হাত থেকে ফসকে যাওয়া শিশুটিকে তুলে আনতে পেরেছে। এ সময়ে আরো কিছু লোক নদীতে ঝাপ দিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। তবে দুজনেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

মুক্তা আক্তার বামনা উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের কন্যা এবং ফাতেমা আক্তার ঢাকার কেরানীগঞ্জের দেলোয়ার হোসেনের কন্যা। রুমান (৮) তার বোনের সন্তান। এরা সকলে মিলে ছুটিতে মুক্তা আক্তারের গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন। মুক্তা আক্তার জানান এই ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়ে তাদের কাছে মনে হয়েছে তারা নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন এবং আগামী দিনগুলিতে ভালো মানুষ হয়ে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Zannatul Ferdoush Jewel

Online News Portal

এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক পাচ্ছেন ২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান

লঞ্চ দুর্ঘটনায় যেভাবে বেঁচে গেলেন একই পরিবারের তিন জন

Update Time : ১১:০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নৌ দুর্ঘটনায় থেকে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাতেমা আক্তার (২০) ও তার বোন নাসিং ডিপ্লোমা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী মুক্তা আক্তার (২১) বিপদের মধ্যেও ঝুকি নিয়ে ৩ জনকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে বাঁচিয়েছেন। তখন লঞ্চটি চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছে। বড়দিনের ছুটিতে মুক্তা আক্তার চাচাতো বোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও বোনের ছেলে শিশু সন্তান নিয়ে বরগুনা জেলার বামনা গ্রামে আসছিলেন।

পথিমধ্যে লঞ্চের আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনায় তারা মানসিক ভাবে ভীত বিহ্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু এর মধ্যে বাঁচার জন্য দৃঢ় মনোভাব নিয়ে মুক্তা আক্তার লঞ্চের পাশে চলে আসে এবং এক পর্যায়ে পানির মধ্যে অন্ধকারে পাড় আছে ভেবে এদেরকে নিয়ে ঝাপ দেয়। তার কোল থেকে শিশু রুমান পড়ে যায় এবং ঝাপ দেয়ার পড়ে সে পায়ে মাটি পায়। পরবর্তিতে সে হাত থেকে ফসকে যাওয়া শিশুটিকে তুলে আনতে পেরেছে। এ সময়ে আরো কিছু লোক নদীতে ঝাপ দিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। তবে দুজনেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

মুক্তা আক্তার বামনা উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের কন্যা এবং ফাতেমা আক্তার ঢাকার কেরানীগঞ্জের দেলোয়ার হোসেনের কন্যা। রুমান (৮) তার বোনের সন্তান। এরা সকলে মিলে ছুটিতে মুক্তা আক্তারের গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন। মুক্তা আক্তার জানান এই ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়ে তাদের কাছে মনে হয়েছে তারা নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন এবং আগামী দিনগুলিতে ভালো মানুষ হয়ে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন।