
খোঁজ খবর ডেস্ক: সুশান্তের মৃত্যু রহস্য তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চেয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ভারতীয় এ অভিনেতার মুছে যাওয়া ই–মেইল ও ফেসবুক চ্যাট সম্পর্কিত তথ্য পেতে এ সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ১৪ জুন সুশান্তের আত্মহত্যা সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে এমন কোনো দিক তদন্তের বাইরে রাখতে চান না বলে জানিয়েছেন সিবিআই কর্মকর্তারা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
২০২০ সালের ১৪ জুন নিজ বাসভবন থেকে উদ্ধার হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের মরদেহ। প্রাথমিকভাবে মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি।
সুশান্তের মৃত্যুর ৪০ দিনের মাথায় সুশান্তের বাবা কেকে সিং প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী, তার পরিবার (ভাই,বাবা,মা), ম্যানেজার শ্রুতি এবং সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার বিরুদ্ধে অভিনেতাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনেন। পরবর্তীতে সুশান্তকে খুন করা হয়েছে বলেও কেকে সিংয়ের আইনজীবী বিকাশ সিং দাবি করেন। সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত নতুন মোড় নেয়, রিয়ার মাদকযোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসবার পর। মাদককাণ্ডে এনসিবির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সুশান্তের গার্লফ্রেন্ড। আপতত জামিনে মুক্ত রিয়া, তবে সুশান্তের ফ্ল্যাট মেট তথা ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানি মাদক মামলায় এখনও জেলবন্দি। মৃত্যুর দিন সিদ্ধার্থ পিঠানিই সুশান্তের দেহ প্রথম দেখেন বলে পুলিশ রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, এমনকি পিঠানি সুশান্তের দেহ নীচে নামিয়েছিল।