শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একডালা ইউপির নৌকা প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
  • ১৩৩ Time View

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের সরকার দলীয় নৌকা প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা প্রদান, হামলা চালিয়ে মারপিট, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও রাতের অন্ধকারে পোষ্টার ছিড়ে ফেলাসহ নানান অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে একডালা ইউপির সরকার দলীয় নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান আলী আবাদপুকুর বাজারে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহান আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে রাণীনগর উপজেলার ৭নং একডালা ইউপির চেয়ারম্যান পদে আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী। আমার নির্বাচনী প্রচারণার সময় গত মঙ্গলবার বিকেলে আমি আমার কর্মী-সমর্থক ও একডালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শিয়ালা গ্রাম এলাকায় প্রচারণা শেষ করে আবাদপুকুর চারমাথা দিয়ে সন্ধ্যার দিকে গুয়াতা গ্রামে প্রচারণার উদ্দ্যেশ্যে যাচ্ছিলাম। এমন সময় স্বতন্ত্র (মোটরসাইকেল প্রতিক) প্রার্থী রুহুল আমিন ও তার ৪০-৫০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার রাস্তায় পথরোধ করে। এ সময় অঘটন ঘটার অশঙ্কায় আমি আমার লোকজন নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অফিসে চলে যাচ্ছিলাম। এই সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ও আমার দলীয় লোকজন, কর্মী-সমর্থকদের উপর রড়, লাঠি, হাসুয়া, ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতুর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে মারপটি করে আমার ৮-১০ জন কর্মীকে আহত করেন। এ সময় তারা আমার সমর্থকের ৩-৪ টি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করেছে। ওই সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কয়েকজন আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আমাকে ও আমার দলীয় লোকজনকে হত্যার হুমকি দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহান আলী বলেন, এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিনের নেতৃত্বে আমার নির্বাচনী পুরো ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এবং রাস্তাঘাটে নৌকা মার্কার সাটানো পোষ্টার রাতের অন্ধকারে তারা ছিড়ে ফেলছে এবং নির্বাচনী পুরো ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমার কর্মীদের ও সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, গত ২ নভেম্বর মঙ্গলবার স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সুপরিকল্পিত ঘটনাটি ঘটানোর পরে বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীদের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করান। যা সম্পন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি প্রকাশিত ওই সব সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে একডালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ফটিক, সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক ও আজিজার রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও হাফিজার রহমান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রফেসর মিজানুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলামসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দাবিকৃত অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর প্রচারণা শেষে কর্মীদের নিয়ে আবাদপুকুর চারমাথা মোড়ে ব্যক্তিগত অফিসে আসি। এরপর কর্মীরা মোটরসাইকেল রেখে যে যার মতো চা-খেতে গেলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শাহজাহান আলী ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে এবং ১৪/১৫ টি মটর সাইকেল ভাংচুর করে। এতে আমার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়। যা মোবাইল ফোন ও সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ যোগা-যোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। প্রার্থী শাহজাহান আলী নিশ্চিত পরাজয় জেনে নিজের অপরাধকে আড়াল করতে এসব মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন বলে দাবি করেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গাইবান্ধায় ইট ভাটা মালিক সমিতি ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ

একডালা ইউপির নৌকা প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৫:২৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের সরকার দলীয় নৌকা প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা প্রদান, হামলা চালিয়ে মারপিট, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও রাতের অন্ধকারে পোষ্টার ছিড়ে ফেলাসহ নানান অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে একডালা ইউপির সরকার দলীয় নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান আলী আবাদপুকুর বাজারে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহান আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে রাণীনগর উপজেলার ৭নং একডালা ইউপির চেয়ারম্যান পদে আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী। আমার নির্বাচনী প্রচারণার সময় গত মঙ্গলবার বিকেলে আমি আমার কর্মী-সমর্থক ও একডালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শিয়ালা গ্রাম এলাকায় প্রচারণা শেষ করে আবাদপুকুর চারমাথা দিয়ে সন্ধ্যার দিকে গুয়াতা গ্রামে প্রচারণার উদ্দ্যেশ্যে যাচ্ছিলাম। এমন সময় স্বতন্ত্র (মোটরসাইকেল প্রতিক) প্রার্থী রুহুল আমিন ও তার ৪০-৫০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার রাস্তায় পথরোধ করে। এ সময় অঘটন ঘটার অশঙ্কায় আমি আমার লোকজন নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অফিসে চলে যাচ্ছিলাম। এই সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ও আমার দলীয় লোকজন, কর্মী-সমর্থকদের উপর রড়, লাঠি, হাসুয়া, ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতুর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে মারপটি করে আমার ৮-১০ জন কর্মীকে আহত করেন। এ সময় তারা আমার সমর্থকের ৩-৪ টি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করেছে। ওই সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কয়েকজন আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আমাকে ও আমার দলীয় লোকজনকে হত্যার হুমকি দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহান আলী বলেন, এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিনের নেতৃত্বে আমার নির্বাচনী পুরো ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এবং রাস্তাঘাটে নৌকা মার্কার সাটানো পোষ্টার রাতের অন্ধকারে তারা ছিড়ে ফেলছে এবং নির্বাচনী পুরো ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমার কর্মীদের ও সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, গত ২ নভেম্বর মঙ্গলবার স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সুপরিকল্পিত ঘটনাটি ঘটানোর পরে বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীদের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করান। যা সম্পন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি প্রকাশিত ওই সব সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে একডালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ফটিক, সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক ও আজিজার রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও হাফিজার রহমান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রফেসর মিজানুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলামসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দাবিকৃত অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর প্রচারণা শেষে কর্মীদের নিয়ে আবাদপুকুর চারমাথা মোড়ে ব্যক্তিগত অফিসে আসি। এরপর কর্মীরা মোটরসাইকেল রেখে যে যার মতো চা-খেতে গেলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শাহজাহান আলী ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে এবং ১৪/১৫ টি মটর সাইকেল ভাংচুর করে। এতে আমার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়। যা মোবাইল ফোন ও সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ যোগা-যোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। প্রার্থী শাহজাহান আলী নিশ্চিত পরাজয় জেনে নিজের অপরাধকে আড়াল করতে এসব মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন বলে দাবি করেন তিনি।