স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধায় পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অজানা ভয়ঙ্কর সেই প্রাণীর আক্রমণে আরও দুইজন নারী আহত হয়েছেন। এনিয়ে আহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ জনে। ফলে মানুষের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীরা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, গতকাল রোববার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে সোমবার ( ১ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত নতুন করে দুইজন নারী অজানা ভয়ঙ্কর প্রাণীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
এদের মধ্যে গতকাল রোববার সকালে পাশ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ডুমুরগাছা গ্রামের মৃত সাত্তার মিয়ার স্ত্রী মোফেলা বেগম (৩০) এবং সোমবার দুপুরে পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের স্ত্রী হাসনা বেগম (৫৫) আক্রান্তের হয়েছেন। হাসনা বেগমকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোফেলা বেগমকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে টিকা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
চিকিৎসাধীন হাসনা বেগম আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, আজ দুপুরে বরকতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে শেয়ালের মত দেখতে একটি প্রাণী দৌড়ে এসে তাকে আক্রমণ করে। প্রাণীটি তার কোমরের নিচে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি চিৎকার দিয়ে উঠলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নাকাই ইউনিয়নের (ডুমুরগাছা গ্রাম) ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, রোববার সকালে মোফেলা বেগম বাড়ির আঙ্গিনায় সাংসারিক কাজ করছিলেন। এসময় একটি প্রাণী তার বাম পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জলাতঙ্কে টিকা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এসব বিষয়ে সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তানভীর রহমান জানান, হাসনা বেগমের কোমরে যে আঘাতের ক্ষত, তা কোন প্রাণীর আক্রমণ থেকেই হয়েছে। তাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তিনি ভালো আছেন।
এলকাবাসী জানান, গত দেড়মাস ধরে পলাশবাড়ী উপজেলার ছয়টি গ্রামে অজানা ভয়ঙ্কর এই প্রাণীর আক্রমণ শুরু হয়েছে। গ্রামগুলো হচ্ছে তালুক কেঁওয়াবাড়ি, হরিণাথপুর, কিশামত কেঁওয়াবাড়ি, খামার বালুয়া, দুলালেরভিটা ও তালুকজামিরা। এই সময়ে এই প্রাণীর আক্রমণে ফেরদৌস ইসলাম নামের একজনের মৃত্যু এবং অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।