মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে ফেন্সিডিল উদ্ধারের সময় ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি পুলিশের

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
  • ২০২ Time View

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ হরিপুর উপজেলায় ৫০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে বলে জানাগেছে।

ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার দিবাগত রাত প্রায় ১২টার দিকে ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদে জানতে পারে হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের চাউলহাটা গ্রামের বর্ডার দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকের কমিশন এজেন্ট আব্দুল সাত্তারের নিয়ন্ত্রণে ফেন্সিডিলের একটি বড় চালান বর্ডার দিয়ে পার হচ্ছে। এসময় ডিবি পুলিশের এসআই নবিউলের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি ওঁৎ পেতে থাকা টিম তাদের ধাওয়া করে।কিন্তু মাদক চোরাকারবারিরা ৫০০ বোতল ফেন্সিডিল ফেলে কুখ্যাত মাদক এলাকা গেরুয়াডাঙ্গীতে পালিয়ে যায়। ডিবি পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে এলাকার লোকজন লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ডিবি পুলিশ ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এসময় হরিপুর থানা পুলিশের এসআই আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম ও গেদুড়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও আহত অবস্থায় ডিবি পুলিশের এসআই নবিউল, কনস্টেবল তারেকুজ্জামান, কনস্টেবল মোজাহারকে উদ্ধার করে হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
ডিবি পুলিশের ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গেরুয়াডাঙ্গী একটি মাদক এলাকা। ইতিপূর্বে বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখানে অভিযান চালিয়ে হামলার শিকার হয়েছে। উক্ত মাদক চোরাকারবারির ঘটনায় আব্দুল সাত্তার(৩৫), পিতা মৃত নজির মোহাম্মদ গেরুয়াডাঙ্গী, করিমুল(২৮),পিতা মোঃশহীদ, মুন্নাটলি(নয়াবস্তি), আব্দুর রহিম(৪০), পিতা মৃত ওসমান গণি, গেরুয়াডাঙ্গী, আব্দুল কাদের(৪৫), পিতা মৃত ইয়াকুব আলী, মুন্নাটলি(নয়াবস্তি), আব্দুল জলিল(৩৬), পিতা ইসমাইল হোসেন, গেরুয়াডাঙ্গীসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারকৃত প্রত্যেক আসামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ও আব্দুল জলিলের নামে বিজ্ঞ আদালতে ১৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, সরকারি কাজে বাধা ও ডিবি পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ৩৬ জনকে আসামী করে ও অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জনকে আসামী করে আরও একটি মামলা করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গাইবান্ধায় ঘাঘট তীরে মুক্তমঞ্চ ‘মানব বন্ধন‘ এর উদ্বোধন

ঠাকুরগাঁওয়ে ফেন্সিডিল উদ্ধারের সময় ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি পুলিশের

Update Time : ১২:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ হরিপুর উপজেলায় ৫০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে বলে জানাগেছে।

ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার দিবাগত রাত প্রায় ১২টার দিকে ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদে জানতে পারে হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের চাউলহাটা গ্রামের বর্ডার দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকের কমিশন এজেন্ট আব্দুল সাত্তারের নিয়ন্ত্রণে ফেন্সিডিলের একটি বড় চালান বর্ডার দিয়ে পার হচ্ছে। এসময় ডিবি পুলিশের এসআই নবিউলের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি ওঁৎ পেতে থাকা টিম তাদের ধাওয়া করে।কিন্তু মাদক চোরাকারবারিরা ৫০০ বোতল ফেন্সিডিল ফেলে কুখ্যাত মাদক এলাকা গেরুয়াডাঙ্গীতে পালিয়ে যায়। ডিবি পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে এলাকার লোকজন লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ডিবি পুলিশ ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এসময় হরিপুর থানা পুলিশের এসআই আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম ও গেদুড়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও আহত অবস্থায় ডিবি পুলিশের এসআই নবিউল, কনস্টেবল তারেকুজ্জামান, কনস্টেবল মোজাহারকে উদ্ধার করে হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
ডিবি পুলিশের ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গেরুয়াডাঙ্গী একটি মাদক এলাকা। ইতিপূর্বে বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখানে অভিযান চালিয়ে হামলার শিকার হয়েছে। উক্ত মাদক চোরাকারবারির ঘটনায় আব্দুল সাত্তার(৩৫), পিতা মৃত নজির মোহাম্মদ গেরুয়াডাঙ্গী, করিমুল(২৮),পিতা মোঃশহীদ, মুন্নাটলি(নয়াবস্তি), আব্দুর রহিম(৪০), পিতা মৃত ওসমান গণি, গেরুয়াডাঙ্গী, আব্দুল কাদের(৪৫), পিতা মৃত ইয়াকুব আলী, মুন্নাটলি(নয়াবস্তি), আব্দুল জলিল(৩৬), পিতা ইসমাইল হোসেন, গেরুয়াডাঙ্গীসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারকৃত প্রত্যেক আসামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ও আব্দুল জলিলের নামে বিজ্ঞ আদালতে ১৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, সরকারি কাজে বাধা ও ডিবি পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ৩৬ জনকে আসামী করে ও অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জনকে আসামী করে আরও একটি মামলা করা হয়েছে।