
খোঁজ খবর রিপোর্ট: কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ১৩০ টাকা দিন মজুরিতে চাকরি করে ৪৬০ কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া নুরুল ইসলামের ফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে পূর্বের একদিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ফের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে শুনানি শেষে বিচারক আসামির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত বুধবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণের জাল টাকা ও বিদেশি মুদ্রাসহ নুরুল ইসলামকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ জাল টাকা, তিন লাখ ৮০ হাজার মিয়ানমারের মুদ্রা, চার হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ও নগদ দুই লাখ এক হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে চুক্তিভিত্তিক দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি নেন নুরুল ইসলাম (৪১)। এ চাকরির সুবাদে স্থানীয় সিন্ডিকেট করে দালালি, পণ্য খালাস, বৈধ পণ্যের আড়ালে অবৈধ মালামাল এনে অল্প সময়ের মধ্যে ৪৬০ কোটি টাকার মালিক বনে যান তিনি। ঢাকায় তার ছয়টি বাড়ি ও ১৩টি প্লট রয়েছে। এছাড়া সাভার, টেকনাফ, সেইন্টমার্টিন, ভোলাসহ বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে মোট ৩৭টি প্লট, বাগানবাড়ি, বাড়ি, চারটি রিক্সার গ্যারেজ, ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকা রয়েছে। অবৈধভাবে তার অর্জিত সম্পদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা।