শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেপজার কার্যক্রম বন্ধসহ ৭ দফা দাবীতে গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বিক্ষোভ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:০৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
  • ২০৪ Time View

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষুখামারের তিন ফসলি জমিতে বেপজার কার্যক্রম বন্ধ ও তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার, লুটপাট, ভাংচুর, বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগসহ ৭দফা দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সাঁওতালরা। সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১২টার থেকে দুইঘন্টা ব্যাপি গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার কাটামোড় এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ওই কমিটির উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য হাজি নূরুল ইসলাম, আজমল হোসেন, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন শেখ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুফল হেমব্রম, সহ-কোষাধ্যক্ষ প্রিসিলা মুরমু, আদিবাসী নেত্রী কেরিনা হাসদা, যুব নেতা বৃটিশ সরেণ, থোমাস হেমব্রম, সুচিত্রা মুরমু তৃষ্ণা, সদস্য ময়নুল হক, অলিভিয়া হেমব্রম প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কোন ফসলি জমি নষ্ট করে শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়। এছাড়া কোন জাতিকে পেছনে ফেলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এরপরও কিছু কুচক্রিমহল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা উপেক্ষা করে তিন ফসলি জমিতে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার পাঁয়তারা করছে। এই জমি এক সময় সাঁওতাল বাঙ্গালীদের বাপ-দাদার জমি ছিল। সেখানে ইক্ষু চাষাবাদ হত। তারা যে শর্তে জমি রিকুইজিশন করেছিল তা ভঙ্গ হয়েছে। ফলে ওই জমি পৈত্রিক সূত্রে সাঁওতাল বাঙ্গালীরা মালিক। জমি উদ্ধারে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে তিন সাঁওতালকে জীবন দিতে হয়েছে। বর্তমানে ওই জমিতে তারা ধানসহ বিভিন্ন ফসলাদী চাষাবাদ করছেন। শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার অনেক জায়গা সরকারের পতিত রয়েছেন। বক্তারা আরও বলেন, তারাও উন্নয়ন চান। কিন্তু সাঁওতালদের পেছনে ফেলে রেখে সেই উন্নয়ন কতটুকু যুক্তিযুক্ত। এরপরও বেপজার কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেইসাথে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমি ফেরত ও তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার, লুটপাট, ভাংচুর, বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ সহ ৭দফা দাবী জানান বক্তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

বেপজার কার্যক্রম বন্ধসহ ৭ দফা দাবীতে গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বিক্ষোভ

Update Time : ০২:০৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষুখামারের তিন ফসলি জমিতে বেপজার কার্যক্রম বন্ধ ও তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার, লুটপাট, ভাংচুর, বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগসহ ৭দফা দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সাঁওতালরা। সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১২টার থেকে দুইঘন্টা ব্যাপি গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার কাটামোড় এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ওই কমিটির উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য হাজি নূরুল ইসলাম, আজমল হোসেন, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন শেখ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুফল হেমব্রম, সহ-কোষাধ্যক্ষ প্রিসিলা মুরমু, আদিবাসী নেত্রী কেরিনা হাসদা, যুব নেতা বৃটিশ সরেণ, থোমাস হেমব্রম, সুচিত্রা মুরমু তৃষ্ণা, সদস্য ময়নুল হক, অলিভিয়া হেমব্রম প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কোন ফসলি জমি নষ্ট করে শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়। এছাড়া কোন জাতিকে পেছনে ফেলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এরপরও কিছু কুচক্রিমহল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা উপেক্ষা করে তিন ফসলি জমিতে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার পাঁয়তারা করছে। এই জমি এক সময় সাঁওতাল বাঙ্গালীদের বাপ-দাদার জমি ছিল। সেখানে ইক্ষু চাষাবাদ হত। তারা যে শর্তে জমি রিকুইজিশন করেছিল তা ভঙ্গ হয়েছে। ফলে ওই জমি পৈত্রিক সূত্রে সাঁওতাল বাঙ্গালীরা মালিক। জমি উদ্ধারে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে তিন সাঁওতালকে জীবন দিতে হয়েছে। বর্তমানে ওই জমিতে তারা ধানসহ বিভিন্ন ফসলাদী চাষাবাদ করছেন। শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার অনেক জায়গা সরকারের পতিত রয়েছেন। বক্তারা আরও বলেন, তারাও উন্নয়ন চান। কিন্তু সাঁওতালদের পেছনে ফেলে রেখে সেই উন্নয়ন কতটুকু যুক্তিযুক্ত। এরপরও বেপজার কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেইসাথে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমি ফেরত ও তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার, লুটপাট, ভাংচুর, বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ সহ ৭দফা দাবী জানান বক্তারা।