রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় অপহরণের ২০ মাস পর মৃত ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • ১৯৫ Time View

স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধায় অপহরণের পর হত্যা মামলার কথিত মৃত ব্যাক্তিকে ২০ মাস পর জীবিত উদ্ধার করেছে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পিবিআই। আজ শনিবার দুুপুরে গাইবান্ধা কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে পিবিআই।
সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ.আর.এম আলিফ জানান, জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ডোমেরহাট ইউনিয়নের সূবর্ণদহ গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ জান্নাতি বেগমের সাথে পাশ^বর্তী নিজপাড়া গ্রামের মোঃ ওয়াসিম জাহান তৌহিদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর এক পর্যায়ে জান্নাতি গর্ভবতি হলে স্থানীয়দের চাঁপে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পরে ওয়াসিম যৌতুক দাবি করায় মেয়ে পক্ষ তা দিয়ে অস্বীকার করলে জান্নাতিকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ওয়াসিম।
এ ঘটনায় জান্নতি বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ পারিবারিক আদালতে মামলা করলে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর নিজে আত্মগোপন করে ওয়াসিম। এরপর তার বড় ভাই মানজুমুল হুদা নাহিদ বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ আদালতে ওয়াসিমের স্ত্রী জান্নাতি ও তার পরিবারের ৭ জনের বিরুদ্ধে ওয়াসিমকে অপহরন করে হত্যা ও গুমের মামলা করে।
২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে হস্তান্তর করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৯ আগষ্ট পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পিবিআই এর একটি দল গাজিপুর জেলার মোগরখাল এলাকার টিএনজেএড নামের একটি ফেক্টরি থেকে কথিত মৃত ওয়াাসিমকে জীবিত উদ্ধার করে। কথিত মৃত ওয়াাসিম দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকুরী করে আসছিল বলে জানায় পিবিআই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক পাচ্ছেন ২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান

গাইবান্ধায় অপহরণের ২০ মাস পর মৃত ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার

Update Time : ০৩:১৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধায় অপহরণের পর হত্যা মামলার কথিত মৃত ব্যাক্তিকে ২০ মাস পর জীবিত উদ্ধার করেছে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পিবিআই। আজ শনিবার দুুপুরে গাইবান্ধা কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে পিবিআই।
সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ.আর.এম আলিফ জানান, জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ডোমেরহাট ইউনিয়নের সূবর্ণদহ গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ জান্নাতি বেগমের সাথে পাশ^বর্তী নিজপাড়া গ্রামের মোঃ ওয়াসিম জাহান তৌহিদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর এক পর্যায়ে জান্নাতি গর্ভবতি হলে স্থানীয়দের চাঁপে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পরে ওয়াসিম যৌতুক দাবি করায় মেয়ে পক্ষ তা দিয়ে অস্বীকার করলে জান্নাতিকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ওয়াসিম।
এ ঘটনায় জান্নতি বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ পারিবারিক আদালতে মামলা করলে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর নিজে আত্মগোপন করে ওয়াসিম। এরপর তার বড় ভাই মানজুমুল হুদা নাহিদ বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ আদালতে ওয়াসিমের স্ত্রী জান্নাতি ও তার পরিবারের ৭ জনের বিরুদ্ধে ওয়াসিমকে অপহরন করে হত্যা ও গুমের মামলা করে।
২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে হস্তান্তর করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৯ আগষ্ট পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পিবিআই এর একটি দল গাজিপুর জেলার মোগরখাল এলাকার টিএনজেএড নামের একটি ফেক্টরি থেকে কথিত মৃত ওয়াাসিমকে জীবিত উদ্ধার করে। কথিত মৃত ওয়াাসিম দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকুরী করে আসছিল বলে জানায় পিবিআই।