বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের ঋণ শোধ করতে সোনার বাংলা গড়তে হবে’

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১
  • ২৮৩ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

খোঁজ খবর ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের জন্য রক্ত দিয়ে যে ঋণে আবদ্ধ করে গেছেন, সেই ঋণ শোধ করতে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যেই তার সরকার কাজ করে চলেছে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিটিভিতে সরাসরি অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়। জাতির পিতার এই আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যেতে পারে না। তিনি এদেশের মানুষের জন্য রক্ত দিয়ে গেছেন। রক্তের ঋণে আমাদের আবদ্ধ করে গেছেন। আমাদের একটাই লক্ষ্য, তার এই রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। বাংলাদেশকে জাতির পিতা ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর সেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে সেই আদর্শ নিয়েই আমাদের পথ চলা।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। স্বজন হারানোর সেই বেদনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব হারিয়েছি। আমি জানি, হারানোর বেদনা খুব কষ্টকর। সেই কষ্ট সহ্য করে একটা লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই লক্ষ্য। যে দেশের স্বপ্ন আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন ইনশাল্লাহ বাস্তবায়িত হবে।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ১৫ অগাস্ট নিহত সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান। তিনি বক্তব্যের শুরুতে বলেন, এ দিনটি (১৫ অগাস্ট) আমাদের জন্য শোকের দিন, কষ্টের দিন। কিন্তু সব থেকে বড় কথা হল, বাঙালি জাতির জন্য সব হারানোর দিন, শোকের দিন। শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতার আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি স্বাধীনতার পর দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে তার নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথাও বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর হাতে সময় পেয়েছেন। এই এত স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা বিধ্বস্ত দেশকে যেমন গড়ে তোলা, পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করা। তিনি সেটা খুব সফলভাবে করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন, সেটা যদি বাস্তবায়ন করে যেতে পারতেন, তাহলে বাংলার মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারত। ক্ষুধা, দারিদ্র থেকে উন্নত জীবন পেতে পারত। কিন্তু খুনিরা যে তা হতে দেয়নি, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাঙালির বিজয় চায়নি, তারাই নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে। কিছু লোক তো বেঈমানিও করে, মুনাফেকি করে। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য সব থেকে দুর্ভাগ্যের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের ঋণ শোধ করতে সোনার বাংলা গড়তে হবে’

Update Time : ০৯:৫৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১

খোঁজ খবর ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের জন্য রক্ত দিয়ে যে ঋণে আবদ্ধ করে গেছেন, সেই ঋণ শোধ করতে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যেই তার সরকার কাজ করে চলেছে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিটিভিতে সরাসরি অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়। জাতির পিতার এই আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যেতে পারে না। তিনি এদেশের মানুষের জন্য রক্ত দিয়ে গেছেন। রক্তের ঋণে আমাদের আবদ্ধ করে গেছেন। আমাদের একটাই লক্ষ্য, তার এই রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। বাংলাদেশকে জাতির পিতা ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর সেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে সেই আদর্শ নিয়েই আমাদের পথ চলা।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। স্বজন হারানোর সেই বেদনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব হারিয়েছি। আমি জানি, হারানোর বেদনা খুব কষ্টকর। সেই কষ্ট সহ্য করে একটা লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই লক্ষ্য। যে দেশের স্বপ্ন আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন ইনশাল্লাহ বাস্তবায়িত হবে।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ১৫ অগাস্ট নিহত সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান। তিনি বক্তব্যের শুরুতে বলেন, এ দিনটি (১৫ অগাস্ট) আমাদের জন্য শোকের দিন, কষ্টের দিন। কিন্তু সব থেকে বড় কথা হল, বাঙালি জাতির জন্য সব হারানোর দিন, শোকের দিন। শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতার আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি স্বাধীনতার পর দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে তার নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথাও বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর হাতে সময় পেয়েছেন। এই এত স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা বিধ্বস্ত দেশকে যেমন গড়ে তোলা, পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করা। তিনি সেটা খুব সফলভাবে করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন, সেটা যদি বাস্তবায়ন করে যেতে পারতেন, তাহলে বাংলার মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারত। ক্ষুধা, দারিদ্র থেকে উন্নত জীবন পেতে পারত। কিন্তু খুনিরা যে তা হতে দেয়নি, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাঙালির বিজয় চায়নি, তারাই নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে। কিছু লোক তো বেঈমানিও করে, মুনাফেকি করে। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য সব থেকে দুর্ভাগ্যের।