
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দাউদপুর গ্রামে রান্না করা খাবারে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দিয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে অচেতন অবস্থায় ওই পরিবারের গৃহকর্তী নিলা রাণী সরকার (৫০) ও তার ছেলে হিমাংশু কুমার সরকার (৩০) কে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বড় দাউদপুর গ্রামের হোমিও চিকিৎসক অনিল কুমার সরকারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আজ সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।
হোমিও চিকিৎসক অনিল কুমার সরকার জানান, সোমবার রাতে তার স্ত্রী নিলা রাণী সরকার ও তার ছেলে হিমাংশু কুমার সরকার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি পার্শ্ববর্তী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মাদারগঞ্জহাটস্থ তার চেম্বার থেকে বাড়ি এসে দেখেন তার দুইটি ঘরের দরজা খোলা। এসময় তিনি তার স্ত্রীর ঘরের সামনে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোন সাড়া না পেয়ে পরে ঘরের জানালা দিয়ে দেখেন তার স্ত্রী অচেতন হয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। একই অবস্থা তার ছেলেরও। পরে দরজা খোলা ঘর দু’টিতে গিয়ে দেখতে পান আলমারি ও ট্রাঙ্ক গুলো খোলা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে।
তিনি আরও জানান, দুর্বৃত্তরা ওই আলমারি ও ট্রাঙ্ক গুলো থেকে তার স্ত্রীর সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণাংকার এবং নগদ অন্তত ২২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। পরে স্ত্রী নিলা রাণী সরকার ও তার ছেলে হিমাংশু কুমার সরকারকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সুরঞ্জন কুমার জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় স্ত্রী নিলা রাণী সরকার ও তার ছেলে হিমাংশু কুমার সরকারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদেরকে রাতের খাবার কিংবা পানির সাথে উচ্চ মাত্রার ঘুমের কিংবা চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল বলে প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে ডা: সুরঞ্জন কুমার সাদুল্লাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন।