শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেও দেশের উন্নয়ন থামাতে পারেনি পাকিস্তানি পেতাত্মারা -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • ১৫৭ Time View

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হত না। জাতির পিতার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাঁতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে, সোনার বাংলা করতে যারা বাধা সৃষ্টি করেছে সেই জিয়া, মোস্তাক, ইউসুফ আলীরা এখন ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। একদিন এমন আসবে তাদের নাম নিশানা থাকবে না এদেশে। বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের খুনিদের অবিলম্বে দেশে এনে বিচার করা হবে। কোন খুনিই রেহাই পাবে না।

তিনি আরও বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। কিন্তু ৭৫ এ জিয়া-মোস্তাকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। পুনরাবৃত্তি করতে চেয়েছিল আবারও পাকিস্তানের। তা আর সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। পলাতকদের  দেশে এনে বিচারের আওতায় আনা হবে। দেশের উন্নয়ন হয়েছে। দেশে এগিয়ে গেছে। শোককে শক্তিতে পরিনত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও দেশের মানুষকে পিছনে তাকাতে দেয়নি। সকল ক্ষেত্রেই উন্নয়ন এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবে রুপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করাই শেখ হাসিনার লক্ষ্য।

হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ ও জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনা সংকটময় এ মুহূর্তে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করেন।
১৫ আগষ্ট রোববার দিনাজপুর শিল্প কলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার  মোঃ আনোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম (বার), দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতুর্জা আল মুইদ, জোনাল স্যাটেলমেন্ট অফিসার শামসুল আযম, দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু প্রমুখ। এ আগে হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি সকাল ৯টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগ, প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, যুবলীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও আওয়ামীলীগের অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেও দেশের উন্নয়ন থামাতে পারেনি পাকিস্তানি পেতাত্মারা -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি

Update Time : ০২:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হত না। জাতির পিতার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাঁতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে, সোনার বাংলা করতে যারা বাধা সৃষ্টি করেছে সেই জিয়া, মোস্তাক, ইউসুফ আলীরা এখন ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। একদিন এমন আসবে তাদের নাম নিশানা থাকবে না এদেশে। বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের খুনিদের অবিলম্বে দেশে এনে বিচার করা হবে। কোন খুনিই রেহাই পাবে না।

তিনি আরও বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। কিন্তু ৭৫ এ জিয়া-মোস্তাকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। পুনরাবৃত্তি করতে চেয়েছিল আবারও পাকিস্তানের। তা আর সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। পলাতকদের  দেশে এনে বিচারের আওতায় আনা হবে। দেশের উন্নয়ন হয়েছে। দেশে এগিয়ে গেছে। শোককে শক্তিতে পরিনত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও দেশের মানুষকে পিছনে তাকাতে দেয়নি। সকল ক্ষেত্রেই উন্নয়ন এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবে রুপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করাই শেখ হাসিনার লক্ষ্য।

হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ ও জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনা সংকটময় এ মুহূর্তে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করেন।
১৫ আগষ্ট রোববার দিনাজপুর শিল্প কলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার  মোঃ আনোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম (বার), দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতুর্জা আল মুইদ, জোনাল স্যাটেলমেন্ট অফিসার শামসুল আযম, দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু প্রমুখ। এ আগে হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি সকাল ৯টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগ, প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, যুবলীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও আওয়ামীলীগের অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন।