
স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারাপুর গ্রামের ঘাটালের ভিটা নামক স্থানে এক রশিতে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুঁলন্ত অবস্থায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুহস্পতিবার সকালে দুই যুবকের ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। সদর থানা পুলিশ সেখানে পৌছে রংপুর থেকে ক্রাইম সিন ইউনিটকে তলব করে। দুপুর ২টার দিকে রংপুর থেকে ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল এসে ঝুলন্ত যুবকদের লাশ নামিয়ে সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চুনিয়াকান্দি গ্রামের মৃত রামনাল চন্দ্রের ছেলে মৃণাল চন্দ্র দাস(২৪) ও একই ইউনিয়নের পাঠানডাঙ্গা মাঝি পাড়া গ্রামের মিঠা সাধু দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস(২৩)। তারা সম্পর্কে দুইবন্ধু এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাদিয়াখালী ইউনিয়নের পাঠানডাংগা মাঝিপাড়া গ্রামের রামচন্দ্র দাসের ছেলে মৃনাল চন্দ্র দাস ও চুনিয়াকান্দি গ্রামের নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস দুইজন বন্ধু। তারা গত দুইদিন আগে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তাদের কোন সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছিল না। দুইদিন নিখোঁজ থাকার পর আজ সকালে সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারাপুর গ্রামের ঘাটালের ভিটা এলাকায় একই রশি ও একই গাছে দুজনের ঝুলন্ত লাশ দেখে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। লাশের পাশে তিন ব্যক্তির ছবি, ছুড়ি ও তাদের ব্যবহৃত ব্যাগ পড়ে পাওয়া যায়। যেহেতু এটি একটি ভিন্ন প্রকৃতির মৃত্যু তাই রংপর থেকে ক্রাইম সিন ইউনিনেট ৬ সদস্যের একটি দল দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে। তারা আলামত সংগ্রহ করে নিহতদের লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ দুইদিন আগে নিখোঁজ হওয়া তাদের ছেলেদের কে বা কারা হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ আব্দুর রউফ জানান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত দুই বন্ধুর লাশ গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।