
স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, সাংবাদিক হেনস্তাকারিদের বিচারের দাবিতে আজ রোববার গাইবান্ধা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে মানববন্ধন রচিত হয়। সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসুচি পালন করে গাইবান্ধা সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ ও সাপ্তাহিক গণপ্রহরী পরিবার। এতে শতাধিক সাংবাদিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, প্রবীণ সাংবাদিক গোবিন্দলাল দাস, সাপ্তাহিক গণপ্রহরীর সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এসকে মজিদ মুকুল, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, জেলা সিপিবির সভাপতি মিহির ঘোষ, জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাবু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জনি, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, অ্যাড. কাজী ফকু প্রমুখ।
মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক শামীম আল সাম্য। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা উদীচীর সভাপতি জহুরুল কাইয়ুম, সমাজকর্মী জাহাঙ্গীর কবির তনু, সাংবাদিক অমিতাভ দাশ হিমুন, সিদ্দিক আলম দয়াল, দীপক কুমার পাল, সৈয়দ নুরুল আলম জাহাঙ্গীর আলম, গৌতমাশিস গুহ সরকার, ফেরদৌস জুয়েল, শামিমউল হক শাহিন, আবদুল খালেদ, তাজুল ইসলাম রেজা, সাইফুল ইসলাম প্রিন্স, কায়সার প্লাবন, এসএম বিপ্লব, উজ্জল চক্রবর্তী, কুদ্দুস আলম, রিকতু প্রসাদ, আফরোজা লুনা, খন্দকার জাহিদ, হারুণ-অর-রশিদ বাদল, ফারহান শেখসহ আরো অনেকে।
বক্তারা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যায় ঢাকতে গিয়ে সাংবাদিক রোজিনাকে পরিকল্পিতভাবে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আজ সকালে রোজিনাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে নি:শর্তে প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সাথে এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। তারা বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। তিনি যেই হোন না কেন। গত ১৭ মে সচিবালয়ের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে হেনস্তাকারিদের আইনের আওতায় এনে দোষীদের বিচার করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে, যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আছে, সেগুলো তদন্ত করতে হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন. সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও হেনস্তাকারিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত সাংবাদিকদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।